কমেনি ডিম-পেঁয়াজের দাম, রসুনেও বাড়তি

নিত্যপণ্যের বাজারে দাম বৃদ্ধির কাতারে ডিম ও পেঁয়াজের সঙ্গে যোগ হয়েছে রসুন।

নিজস্ব প্রতিবেদকফয়সাল আতিক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2018, 04:51 PM
Updated : 20 July 2018, 09:11 PM

তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম এ সপ্তাহে কিছুটা কমে এসেছে।

মাসখানেক ধরেই কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এরমধ্যে সপ্তাহ দুয়েক ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার ঢাকার বাজারে রসুনের দামও কিছুটা চড়া দেখা গেছে।

ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সপ্তাহে পাইকারিতে ডিমের দাম আরও বেড়েছে। শুক্রবার বড়বাগ বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও মহল্লার দোকানে লেগেছে ১০৫ টাকা। 

কারওয়ানবাজারেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে পাঁচ টাকা বেড়ে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিতে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের পাল্লা ১৯০ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন তা ২১০ টাকায় পৌঁছেছে।”

পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না জানিয়ে এই আড়ৎদার বলেন, “ট্রাকে যারা কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ দিয়ে থাকেন তারাই এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

“সকালে ট্রাক থেকে কিনে দিনের মধ্যেই তা বিক্রির টার্গেট থাকে আমাদের। তাই অতি মুনাফার সুযোগ নেই।”

এই নিত্যপণ্যটির এভাবে দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ জানান কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা শিক্ষার্থী মুরাদ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেশ কিছু দিন স্থিতিশীল থাকার পর পেঁয়াজের দাম বেড়ে এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

“২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা হওয়া মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশ স্থিতিশীল বলা যায়।”

বড়বাগ বাজারের মুদি দোকানি সাহাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি মানের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা এবং ভারতীয় বড় আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।”

শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা রসুনের দামও প্রতি কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।

সাহাব উদ্দিন বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে রসুনের দাম বেশ খানিকটা কমে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় নেমেছিল। গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা আর চলতি সপ্তাহে তা আরেক ধাপ বেড়ে ৭০ টাকায় উঠেছে।”

এই পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধির মধ্যেও গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে সবজির দাম।

মিরপুরের বড়বাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। এসব সবজির মধ্যে চিচিঙ্গা, বরবটি, করলা, বেগুন ও পটল রয়েছে।

তবে কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, চিচিঙ্গা, বেগুন, করলা ও পটলের দাম প্রতি কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

বড়বাগে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কচুরমুখী, লাউ ও টমেটো; কচুরমুখীর কেজি ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা।

সবজি বাজারে তুলনামূলক স্থিতিশীল দরের পাশাপাশি সরু চালের দামও কিছুটা কমেছে বলে কয়েকজন বিক্রেতা জানিয়েছেন।

বড়বাগ বাজারের মুদি দোকান মিম অ্যান্ড প্রান্তিকার ব্যবস্থাপক নাজমুল হাসান জানান, মোটা চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চলতি সপ্তাহে সরু চালের দাম কিছুটা কমেছে।

“মিনিকেটের বস্তা (৫০ কেজি) গত সপ্তাহে ২৬০০ থেকে ২৬১০ টাকা মধ্যে থাকলেও চলতি সপ্তাহে ২৫৫০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। বিআর আটাশের দামও কিছুটা কমে বস্তা ২০০০ টাকায় নেমেছে, যা আগের সপ্তাহে ২০৬০ টাকায় ছিল।”

চালের দাম কমার এই প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

গত সপ্তাহের মতই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৫০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগির কেজি ৪৩০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়।

আরও খবর-