ইবিএলের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে বলে রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে শাখা খুলতে ২৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে ব্যাংকটির। তবে অতিরিক্ত মূলধন হিসেবে আরও ১০ মিলিয়ন ডলার রাখবে ইবিএল। ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকেই এ অর্থের জোগান দেওয়া হবে।
হংকং ও মিয়ানমারে ইবিএলের সহযোগী শাখা থাকলেও ভারতেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ শাখা খুলতে যাচ্ছে এই ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য শিগগিরই আবেদন করবে ইস্টার্ন ব্যাংক।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ইবিএলের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস (পিডব্লিউসি) প্রাইভেট লিমিটেডের ইন্ডিয়া অফিস এ বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অনুমোদন নিতে কাজ করবে।
ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি পেলেই আমরা আমাদের শাখা স্থাপনের কাজ পুরোদমে শুরু করব।”
সেজন্য কতদিন লাগতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে ইফতেখার বলেন, “সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। আমরা আমাদের মত করে কাজ লাগিয়ে যাব। যখন সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে তখন কাজ শুরু করব।”
১৯৯২ সালে কার্যক্রম শুরুর পর দেশে ৮২টি শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ২০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৭৩৮ কোটি টাকা।
এ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৪৪৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে আছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৩ দশমিক ৪২, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। গত বছর ইবিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
২০১৭ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৯ টাকা ৬৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।