বিনিয়োগহীন হাইটেক পার্কে সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করতে হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হলেও বিনিয়োগীদের আকৃষ্ট করতে উদ্যোগ না নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 06:16 PM
Updated : 15 July 2018, 06:16 PM

একই সঙ্গে কমিটি থেকে নিরুৎসাহিত করার পরও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিটি।

রোববার ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেট হাইটেক পার্ক পরিদর্শন সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি।

গত ২৭ এপ্রিল সিলেট হাইটেক পার্ক পরিদর্শন করে সংসদীয় কমিটি। পরে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

ওই পরিদর্শনের সময় সিলেটের উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সেমিনার করার সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে হাইটেক পার্ক নিয়ে প্রচারপত্র তৈরির কথাও বলা হয়।

কিন্তু সুপারিশের পরেও এ উদ্যোগ নেয়নি হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এপ্রিল মাসে আমরা সেমিনার করার জন্য সুপারিশ করেছিলাম। এখনও সেটা করা হয়নি।

“আমরা জানতে চেয়েছিলাম এত দেরি করার কারণ কী? তারা বলেছে, দ্রুত তারা ব্যবস্থা নেবে?”

পিপিপির ভিত্তিতে কোনো প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি উল্লেখ করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে পার্ক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কর্তৃপক্ষকে অনুৎসাহিত করেছিলাম। কিন্তু তারপরও তারা সেই পথে হাঁটছে। কেন? তারা এত উৎসাহী কেন?”

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপনের জন্য জমি সংস্থানের বিষয়ে আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বিষয়টি উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

কমিটি সিলেট হাইটেক পার্ক প্রকল্পের কাজ ‘অবশ্যই’ মানসম্মত, দ্রুততার সঙ্গে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করে।

ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া অংশ নেন।

বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

সরকারের রূপকল্প ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক এবং সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৬২ দশমিক ৮৩ একর জমির ওপর এই পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। 

২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তি স্থাপন করেন।

১৩৪ কোটি দুই লাখ ৬১ হাজার ৫৬ টাকা ব্যয়ে দেশের দ্বিতীয় হাইটেক পার্কটি নির্মিত হচ্ছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।