জ্যাক মাকে টপকে এশিয়ার সেরা ধনী মুকেশ আম্বানি

আলিবাবা গ্রুপের কর্ণধার জ্যাক মাকে ছাড়িয়ে এশিয়ার সেরা ধনী হয়েছেন ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2018, 03:09 PM
Updated : 13 July 2018, 03:51 PM

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, শুক্রবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্টিজের শেয়ারের দর ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে যাবৎকালের সর্বোচ্চ একহাজার ৯৯ টাকা ৮০ রুপিতে উঠে।

এর ফলে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার।

রিলায়েন্স পেট্রোক্যামিকেল পরিশোধনক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করায় এবছর আম্বানির ৪০০ কোটি ডলার সম্পদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে নতুন আসা আলোড়ন সৃষ্টিকারী টেলিযোগাযোগ কোম্পানি রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের সাফল্যেও বিনিয়োগকারীরা উল্লসিত।

এরপর এই মাসের শুরুতে ২১ কোটি ৫০ লাখ টেলিযোগাযোগ গ্রাহক ই-কমার্স প্রসারে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করে রিলায়েন্স।

অন্যদিকে আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের মালিক ২০১৮ সালে ১৪০ কোটি ডলার লোকসান করেছেন। বৃহস্পতিবার দিন শেষে যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সুপরিচিত আম্বানি জামনগরে বিশ্বের বৃহত্তম শোধনাগার প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোবাইল ডেটা নেটওয়ার্কের মালিকানা তার এবং ভারতের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে লাভজনক খুচরা প্রতিষ্ঠানও তার বলে দাবি করা হয়।

এই মাসে শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সভায় আম্বানি বলেন, রিলায়েন্স রিটেইল লিমিটেড এবং রিলায়েন্স জিও বিজনেসকে সঙ্গে করে ‘হাইব্রিড, অনলাইন-টু-অফ-অফলাইন নতুন বাণিজ্য প্লাটফর্ম’ তৈরিতে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছে রিলায়েন্স। ২০২৫ সালের মধ্যে রিলায়েন্সের আকার দ্বিগুণেরও বেশি হবে।

আগস্ট মাসে ভারতের একহাজার ১০০ শহরজুড়ে একটি ফাইবারভিত্তিক ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করবে জিয়ো, যা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় ‘গ্রিনফিল্ড ফিক্সড লাইন রোল-আউট’ হবে বলে আম্বানি মন্তব্য করেন।

এই ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে, রিলায়েন্স এক দশকেরও বেশি সময় পরে ‘একশো বিলিয়ন ডলার’ ক্লাবে প্রবেশ করে রিলায়েন্স। দুই বছর আগে তিনি একই জায়গায় টেলিকম উদ্যোগে বিনামূল্যে অফারের ঘোষণা দেন। এর ফলে ছোট প্রতিদ্বন্দ্বীরা বাজার ছেড়ে দিতে এবং বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা একত্রিত হতে বাধ্য হয়।

মুকেশ উত্তরাধিকার সূত্রে রিলায়েন্স পান তার বাবা ধীরুভাই আম্বানির কাছ থেকে, যিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভারতীয়দের মধ্যে একটি ইক্যুইটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেন এবং তাদের সঞ্চয় ব্যবহার করে টেক্সটাইল ও পেট্রোকেমিক্যাল কারখানা নির্মাণ করেছিলেন।

২০০২ সালে ধীরুভাইয়ের মৃত্যুর পর মুকেশ ও তার ছোট ভাই অনিল আম্বানির হাতে রিলায়েন্সের ভার পরে। পরে মায়ের মধ্যস্ততায় পারিবারিক চুক্তি অনুযায়ী ২০০৫ সালে দুই ভাইয়ের মধ্যে কোম্পানি ভাগ হয়ে যায়।