বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ ক্যারেট (সবচেয়ে ভালো মানের), ২১ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেট মানের সোনার দর ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমেছে।
গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে প্রচলিত সনাতন পদ্ধতির সোনার দর ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা মিলবে তার কোনো মানদণ্ড নেই।
বৃহস্পতিবার থেকে সোনার নতুন দর কার্যকর হবে বলে জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের সোনা ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকায় বিক্রি হবে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪৭ হাজার ৫৩১ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪২ হাজার ৪৫৭টাকা।
সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকায়।
বুধবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫০ হাজার ৭৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২১ ক্যারেট সোনা বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেট সোনার দর ছিল ৪৩ হাজার ৬২৩ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয়েছে ২৬ হাজার ৪১৯ টাকায়।
রূপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের এক হাজার ৫০ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে রূপা।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে।
সোনার দাম বাড়ানো-কমানো প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীলিপ কুমার আগারওয়ালা সুইজারল্যান্ড থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুই-তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স (২.৬৫ ভরি বা ৩৮ গ্রাম) সোনার দাম ৩০ ডলার কমেছে। সে হিসাব করে স্থানীয় বাজারে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছে।
“তবে গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলের ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম একই পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।”
সনাতন সোনার দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমরা এতদিন লক্ষ্য করে এসেছি, মফস্বলের যারা সোনা বিক্রি করতে আসত তাদের ঠকানো হতো। ২২ ক্যারেটের সোনার দামের অর্ধেক দামে সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হতো।
“বাজুসের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করার পরও জেলা প্রশাসন থেকে সনাতন পদ্ধতির সোনার মান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হতো না। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা এই প্রথমবারের মতো সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ভবিষ্যতেও এই মানের সোনার দাম বাড়ানোর ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আগারওয়ালা জানান।
“আমরা পর্যায়ক্রমে ১৮ ক্যারেট সোনার দর আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম একই পর্যায়ে নিয়ে আসব।”
তিন মাস পর সোনার দাম কমানোর পাশাপাশি বাড়ানোও হল। এর আগে এই পণ্যটির দাম হয় বাড়ানো হতো; না হয় কমানো হতো।
সর্বশেষ তিন মাস আগে ১৮ মার্চ সব ধরনের সোনার দাম কমানো হয়েছিল।
অলংকার তৈরিতে সোনার দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ দাম ঠিক করা হয়।