‘ক্রেতারা যতক্ষণ আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত দোকান খোলা’ রাখবেন বলে জানান গাউছিয়ার পাশের ইসমাইল ম্যানশনের জয়পুরী ওড়না হাউজের ব্যবস্থাপক মো. হোসেন।
তিনি বলেন, “আজকে চাঁদরাত। অনেক কাস্টমার রাত করেও আসে। আমরা সারারাত দোকান খোলা রাখব। কালকেই তো ঈদ।”
বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার শেষ রোজায় গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় দেখা যাবে বিপণিবিতান, শপিং মল ও ফুটপাতে।
দিনে রাজধানীর গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব ও মিরপুর এলাকার বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের সামলাতে ব্যস্ত দেখা গেছে দোকানিদের।
মিরপুর ২ নম্বরে ফুটপাতে ছেলেদের প্যান্ট বিক্রেতা হাশেম মিয়া বলেন, “আজকে যা বিক্রি করতে পারি তাই লাভ। থাকমু সারা রাত। কাল নামাজ পইড়া বাইত চইলা যামু।”
শেষ সময়ে এসে মেহেদি, জুয়েলারি, কসমেটিকস ও জুতার চাহিদাই ছিল বেশি।
গাউছিয়ায় কসমেটিকস আর মেহেদি কিনতে এসেছিলেন আফরিনা রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদে তো বাচ্চারা শখ করে মেহেদি লাগায়। আরও কিছু কেনাকাটা আছে। তাই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।”
বহু মানুষ ঈদ করতে গ্রামে যাওয়ায় ফাঁকা ঢাকায় যানজট না থাকায় স্বস্তিতে শপিং করতে পারছেন বলে জানালেন বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে আসা নাখালপাড়ার বাসিন্দা এনামুল হোসেন।
তিনি বলেন, “এবারে ২৯ রোজা হবে তা ভাবিনি। কিন্তু সৌদি আরবে আজ ঈদ হয়ে যাওয়ায় নিশ্চিত হয়েছি, আমাদের এখানে কাল ঈদ হবে। তাই চলে এসেছি কিছু কেনাকাটা করতে।
“রাস্তাও তো ফাঁকা। আসতে বেশি সময় লাগেনি। মার্কেটেও ভিড় নেই। দেখেশুনে কেনা যাচ্ছে।”
নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চক, ইসমাইল ম্যানশনের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও ‘চাঁনরাতের’ কেনাকাটায় ফুটপাতও জমে ওঠে।
এদিকে সাধারণ স্টেশনারি দোকানের তুলনায় সুপার শপগুলোতে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী কিনতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
মিরপুরের রঙধনু শপিং কমপ্লেক্সের আগোরা সুপার স্টোরের ম্যানেজার রহমান জানান, ক্রেতাদের সমাগমে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
“আজকে সকাল থেকেই অনেক ক্রেতা এসেছে। বিক্রিও হয়েছে অনেক বেশি। ইফতারের আগ থেকে কাস্টমার কম ছিল। কিন্তু ইফতারের পর থেকে রাশ অনেক বেশি।”
নিউ মার্কেটের একটি স্টেশনারি দোকান থেকে পোলাওয়ের চাল, সেমাই ও বিভিন্ন ধরনের মশলা কিনেছিলেন সুমনা।
তিনি বলেন, “অন্যান্য কেনাকাটা শেষ। ঈদের দিন সব মেহমানরা বাসায় আসবে। অনেক সেমাই, জর্দা, ফিরনি, বিরিয়ানি রান্না করব। তাই কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিচ্ছি।”
বায়তুল মুকাররমের সামনে টুপি, জায়নামাজ, তসবী বিক্রি করেন ইয়াকুব হোসেন।
তিনি জানান, শেষ তিন-চার দিনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছেন তিনি।