রোজার ২৮তম দিনে রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের জুতার দোকানগুলোতে ছিল ভিড়। সাধারণ জুতার দোকান থেকে শুরু করে নামিদামি ব্র্যান্ডের জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের চাপ ছিল বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, ২৫ রোজার পর থেকে জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতা বেড়েছে। তবে বুধবার থেকে ক্রেতা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে।
“সব ধরনের কাস্টমারই আসছে। অনেক বিক্রি হচ্ছে। মেয়েদের ফ্লাট জুতা ও সু বেশি বিক্রি হচ্ছে। আর ছেলেরা পাঞ্জাবীর সাথে মানানসই স্যান্ডেল নিচ্ছে বেশি।”
সেখানে জুতা কিনতে আসা তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, “এখানকার শপটা বড়। সব ধরনের জুতা পাওয়া যায়। তাই এখান থেকেই কিনি।”
বসুন্ধরার নিচতলার জুতার দোকান ইমরানিয়ার বিক্রয়কর্মী রবিন জানান, ছোট-বড় সব বয়সীদের জুতা রয়েছে তাদের দোকানে।
“৫০০ টাকা থেকে শুরু করে চার হাজার টাকার জুতা আছে আমাদের দোকানে। আমাদের জুতাগুলা চীন আর থাইল্যান্ডের।”
নিউ মার্কেটের ভেতরে ও ফুটপাতের জুতার দোকানগুলোতে জমজমাট বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের গুড লাক সু’র ব্যবস্থাপক মোহন মিয়া জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত ক্রেতা পাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, “প্রথমদিকে জুতার বিক্রি এমনিতেই কম থাকে। ১৫ রোজার আগে তেমন বিক্রিই হয় নাই। কিন্তু দুই-তিন দিন ধরে বিক্রি অনেক ভাল।”
তিনি বলেন, “সব কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। জুতাটা বাকী ছিল। তাই ভাবলাম আজ কিনে ফেলি।”
ধানমন্ডি ও মিরপুরের জুতার দোকানগুলোতেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে।
ধানমন্ডির রাপা প্লাজার জুতার দোকান হান্ড্রেড ইয়ার্সের কর্ণধার মো. শাহাবুদ্দিন জানান, তার দোকানে বিক্রি ভালো হচ্ছে। মেয়েদের পাম সু ও নাগরা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নম্বরের অ্যাপেক্সের দোকানে বাবা-মার সাথে জুতা কিনতে এসেছে ছয় বছর বয়সী প্রিনিয়া। ঈদের জুতাটি নিজের পছন্দেই কিনছিল সে।
অ্যাপেক্সের বিক্রয়কর্মী মো. মারুফ জানান, এবার মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের কারণে গতবারের তুলনায় বিক্রি কম হয়েছে তাদের।
“গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কম। তবে এখন কাস্টমার আসছে। শেষদিকে বিক্রি বেশি হচ্ছে।”