জুয়েলারি পণ্যের বিক্রেতারা বলছেন, ঈদে কানের দুল, গলার নেকলেস, ঝুমকার চুড়ি বিক্রি চলছে বেশি।
গাউছিয়া মার্কেটের এক্সোটিক জুয়েলারির মালিক নাজমুল হাসান আবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের সুতা দিয়ে বানানো দুলগুলো এবার চলছে বেশি।
গাউছিয়ার বাইরে একটি জুয়েলারির দোকানে পছন্দের গহনার খোঁজ করছিলেন আফরোজা ইসলাম।
পছন্দের গয়না নিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুতার দুলগুলো বেশ ফ্যাশন্যাবল। এছাড়াও অ্যান্টিকের দুলগুলোও দেখছি। ড্রেসের সাথে জুয়েলারিটা গর্জিয়াস হলে ভাল লাগবে।"
তরুণীদের এবারের ঈদ কেনাকাটায় ‘জনপ্রিয়’ সুতার দুলগুলো পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
‘একেক কাস্টমারের একেক রকম পছন্দ’ হলেও বাকিদের মতো শাব্বিরও জানালেন, রেশমি সুতার দুলগুলোই বেশি কিনছে তরুণীরা।
“ঝুমকার চুড়ি, আংটি, ব্রেসলেটও বিক্রি হচ্ছে।"
পাঁচ বছরের আরশিয়াকে নিয়ে তার মা এসেছেন মেয়ের ঈদের সাজের জন্য চুলের ব্যান্ড আর ক্লিপ কিনতে।
আরশিয়ার মা বলেন, "ঈদের ড্রেস কিনেছি। এখন ক্লিপ কিনতে এসেছি।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "ঈদে এবার আগেভাগেই সব কেনাকাটা করেছি। কিছু বাকি ছিল, সেগুলো কিনতে এসেছি। এর পাশাপাশি ড্রেসের সাথে পরার জন্য কিছু জুয়েলারি নিয়ে নিচ্ছি।”
নিউ মার্কেটের ঝুমকা ফ্যাশন অ্যান্ড জুয়েলারির মালিক মহসিন জানান, তার দোকানে কানের দুল ও হাতের ব্রেসলেটগুলো বেশি চলছে। আংটির চাহিদাও রয়েছে।
জুয়েলারি কিনতে আসা বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার বলেন , "নতুন জামার সাথে জুয়েলারি ছাড়া তো মানায় না।”
তবে ঈদের বাজারে গয়নার ‘দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে’ বলেও অভিযোগ রয়েছে তার।
এছাড়াও ঘড়ির চাহিদার কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, "কানের দুল আর নেকলেসের পাশাপাশি লকেটসহ লম্বা চেইনগুলোও বেশি বিক্রি হচ্ছে। এগুলো ২৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছি।"