বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারকে প্রস্তাবিত বাজেট পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
অ্যামটব বলছে, বাজেটের আগে তারা সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার যে বাজেট প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করেছেন, সেখানে তার কোনো প্রতিফলন তারা দেখতে পাচ্ছেন না।
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে আসছিল অপারেটররা। নতুন ও পুরাতন সিম প্রতিস্থাপনে ১০০ টাকা ট্যাক্সও তারা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত নয়- এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য করপোরেট কর কমানোর দাবি ছিল অপারেটরদের। অলাভজনক মোবাইল কোম্পানির ক্ষেত্রে মোট আয়ের ওপর ধার্য সর্বনিম্ন ০.৭৫ শতাংশ কর্পোরেট করও তুলে দেওয়ার আবেদন ছিল তাদের।
বাজেট প্রস্তাবে এর কোনোটিই না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছে অ্যামটব।
দেশীয় কোম্পানিগুলো স্মার্টফোন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনের আগ পর্যন্ত এর ওপর বিদ্যমান প্রায় ৩১ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা। কিন্তু বাজেটে উল্টো আরও ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন মুহিত।
অ্যামটব মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবীর বলেন, “সরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অংশীদার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রধান অনুঘটক হিসেবে মোবাইল অপারেটররা সরকারের কাছে বাজেটে ইতিবাচক ভূমিকা আশা করে। বিগত কয়েক বছর ধরে মোবাইল শিল্প খাত গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অবদান রাখছে।"
নূরুল কবীর বলেন একাধারে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম বৃহৎ উৎস মোবাইল খাত। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই শিল্পের টেকসই উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ।
“মোবাইল অপারেটররা তাদের মোট আয়ের প্রায় অর্ধেক সরকারকে রাজস্ব হিসাবে প্রদান করছে। সরকার যদি এই খাতে সহায়ক ভূমিকা পালন না করে তবে বিদ্যমান কর কাঠামোতে গ্রাহক পর্যায়ে মান সম্পন্ন সেবাদান কঠিন হয়ে পড়বে। তাছাড়া উচ্চ কর এই খাতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে।”