৩১ জানুয়ারির পর থাকতে পারবে না অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নে গঠিত অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সকে আগামী ৩১ জানুয়ারির পরে আর থাকতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2018, 07:44 AM
Updated : 31 May 2018, 08:58 AM

ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।

‘৩১ জানুয়ারির পরে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের বাংলাদেশে থাকার কোনো প্রয়োজন হবে না’ উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, “হাই কোর্টে মামলা হয়েছে, কোর্ট সেটা স্থগিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা কোর্টে গিয়ে বলবে আমরা ছয় মাস টাইম দিয়েছি।

“পৃথিবীর কোনো দেশে (অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স) নাই। ভিয়েতনামে যেতে পারে না, প্রস্তাবই করতে পারে না যে অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্স আসবে। চীনে নাই, পাকিস্তানে নাই, ভারতে নাই শুধু বাংলাদেশে, না এটা হবে না। আমরা আত্মমর্যাদাশীল জাতি, এখানে অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্সের আর প্রয়োজন হবে না।”

তোফায়েল বলেন, “আমাদের কারখানাগুলো আমাদের আরসিসি দেখবে। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পরে বৃদ্ধি করার কোনো সম্ভাবনা নাই।”

অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ছাড়ার পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের রেমিডিয়েশেন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) সংগঠন দুটি যেসব কাজ করতে সেই দায়িত্ব নেবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে।

সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর ইউরোপীয় ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাকোর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’ এবং আমেরিকার ক্রেতাদের উদ্যোগে স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশ সেফটি অ্যালায়েন্স’ গঠন করা হয়।

ইউরোপীয় চুক্তিটি সংক্ষেপে ‘অ্যাকর্ড’ নামে পরিচিত। আর উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও গ্যাপসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়ে ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ইনিশিয়েটিভ’ গঠন করে, সংক্ষেপে যা ‘অ্যালায়েন্স’ নামে পরিচিত।

তোফায়েল বলেন, রানা প্লাজা ধসের পরে অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্স আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, পৃথিবীর কোনো দেশে অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্স নাই।

“২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজায় দুর্ঘটনা হয়। গত এপ্রিলে ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, এই সময়ে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা হয়নি, তার মানে আমাদের কারখানাগুলো কপ্লায়েন্স।

“আমাদের ইলেক্ট্রিক্যাল সেফটি, ফায়ার সেফটি, স্টাকচালার ইন্টিগ্রিটি অব দি বিল্ডিং- অল আমরা রিনোভেশন করেছি। অনেকগুলো ফ্যাক্টরি ইতোমধ্যে গ্রীন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তরিত হয়েছি। আমাদের কারখানাগুলো অবস্থা ভালো।”

চুক্তি অনুযায়ী গত ৩১ মে পর্যন্ত অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্সের বাংলাদেশে থাকার কথা থাকলেও পরে তাদের আরও ছয় মাস অন্তর্বর্তীকালীন সময় দেওয়া হয়; যা শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।