শনিবার এফবিসিসিআইয়ের সভাকক্ষে মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে ব্যবসায়ী সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উগান্ড ও ইথিওপিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে বের করতে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উগান্ডা ও ইথিওপিয়াসহ ওই এলাকার দেশগুলোতে কৃষিজমি ইজারা নিয়ে চাষাবাদের সম্ভাবনার বিষয়টি এফবিসিসিআই নেতাদের আলোচনায় উঠে আসে।
এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ সামগ্রী, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, সিমেন্ট, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং সিরামিক পণ্যের বাজার খুঁজতে আফ্রিকার কয়েকটি দেশ সফরের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
২০১৬ সালে আফ্রিকা অঞ্চলে মোট ৭৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলারের নিটওয়্যার রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে এ দিক দিয়ে চীন, ভারত ও মরিশাসের তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।
সারা বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও আফ্রিকায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আফ্রিকার বাজারে বাংলাদেশের জুতা ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যেরও ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি উগান্ডা, ইথিওপিয়া, ঘানা, লাইবেরিয়া, সেনেগালের মত দেশে জমি ইজারা নিয়ে কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও তারা খতিয়ে দেখছেন।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন সভায় কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশে উগান্ডার অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্বরত আবুল হোসেন আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন।
কমিটির সাবেক ডিরেক্টর ইনচার্জ আমিন হেলালি এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিত্ব করা ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।