রোববার এফবিসিসিআই ভবনে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিএআরএসএমএ) এবং বাংলাদেশ স্টিল মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমওএ) প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
এফবিসিসিআইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে এমএস পণ্যের (রডের) কাঁচামাল বিলেট আমদানির ক্ষেত্রে যাতে বিদ্যমান শুল্কহার বহাল থাকে সেজন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিলেট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তারা। শুল্ক কমালে দেশে নিম্নমানের বিলেট ঢুকে পড়তে পারে বলেও যুক্তি অ্যাসোসিয়েশনগুলোর।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংগঠনের বাজেট ও শুল্ক বিষয়ক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশে রডের হঠাৎ দাম বৃদ্ধি এবং তা কমিয়ে আনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়।
স্টিল মিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মেল্ট স্ক্র্যাপের দাম বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়া, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং মহাসড়কে ট্রেইলারের বহন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের কারণে সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে রডের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে দাম আবার নেমে এসেছে।
টিসিবির হিসাবে বর্তমানে ৬০ গ্রেডের এমএস রড প্রতি টন ৬৬ হাজার টাকা থেকে ৬৮ হাজার টাকা, ৪০ গ্রেডের এমএস রড ৫৭ হাজার টাকা থেকে ৫৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্থানীয় বাজারে যাতে কখনোই অযৌক্তিকভাবে রডের দাম না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পেলে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাতে পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয় সে ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।
বিলেট আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক বহাল রাখার বিষয়ে এফবিসিসিআই থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে বলে সভায় আশ্বস্ত করেন মহিউদ্দিন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএসএমওএর চেয়ারম্যান শেখ ফজলুর রহমান, বিএআরএসএমএর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।