অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধে প্রক্রিয়া শুরু

বাংলাদেশে বৈধভাবে আমদানি বা তৈরি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের ডাটাবেইজ তৈরি এবং অবৈধ ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে একটি পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2018, 06:13 PM
Updated : 6 May 2018, 06:13 PM

আগামী তিন মাসের মধ্যে এ পদ্ধতিটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিএমপিআইএ নেতাদের হাতে ‘আমদানি অনাপত্তিপত্র স্বয়ংক্রিয়করণ এবং দেশে আমদানি হওয়া সকল মোবাইল ফোনের আইইএমআই ডাটাবেইজ তৈরি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা’ স্থাপনের অনুমতিপত্র হস্তান্তর করেন।

বিএমপিআইএ জানায়, এ সিস্টেমটি  বিটিআরসি ভবনে স্থাপিত হবে এবং বিএমপিআইএ’র আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ৩ মাসের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।

তারা আশা করছে, এ পদ্ধতিতে দেশে বৈধভাবে আমদানিকৃত বা তৈরি হওয়া ফোনের ডাটাবেইজ তৈরি হবে বলে অবৈধ ফোনের ব্যবহার ক্রমে বন্ধ হবে। ফলে সরকার কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব বেশি পাবে। এছাড়া মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অপব্যবহার ও অপরাধ হ্রাস পাবে।

এছাড়া মোবাইল ফোন ক্রেতারা কেনার আগে পদ্ধতি শুরু হওয়ার পর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন ওই ফোনটি বৈধভাবে আনা হয়েছে কি না।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও  প্রয়োজনীয় বিষয়। জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধি,  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ দমনে এই সিস্টেমটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে।“

স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, ”এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সেক্টরের সম্মিলিতভাবে করা একটি চমৎকার প্রকল্প যা একই সাথে ব্যাবসায়ি, সরকার, ও মোবাইল ব্যবহারকারিদের সুবিধা দেবে।“

অনুষ্ঠানে  বিএমপিআইএ সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, “অবৈধ  পথে আসা মোবাইল জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিশাল ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, তাই অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে এই সিস্টেমটি যথেষ্ট সহায়ক হবে।”

বাজারে যেসব মোবাইল হ্যান্ডসেট আছে সেগুলোর প্রতি তিনটিতে একটিই নকল বা অবৈধ বলছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের হিসাবে প্রতি বছর এক কোটির বেশি অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজার আসছে। এগুলোর বাজার মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা, আর এর পুরোটাই যাচ্ছে গ্রাহকের পকেট থেকে।

প্রতিটি সেট আমদানিতে তার মূল্যের ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও ৫ শতাংশ শুল্কসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ সরকারকে দিতে হয় বলে জানান হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আইএমইআই নম্বরবিহীন সেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন।