ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই ডিজিটাল এজেন্সির আত্ম-প্রকাশ ঘোষণা করা হয়।
এতে জানানো হয়েছে, ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্কের এ্যাফিলিয়েট ডেন্টসু এবং মিডিয়া এ্যাক্সিস কারাটের এজিস নেটওয়ার্কের স্বতন্ত্র ডিজিটাল এজেন্সি হিসেবে ডি’ রিচ আত্মপ্রকাশ করেছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ধারা বদলে দেওয়ার রূপরেখার পাশাপাশি ডি’রিচের ডিজিটাল লিডারশিপের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে ডি’ রিচের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্ক দক্ষিণ এশিয়ার চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশীষ ভাসিন, আইসোবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দীন জাসানী, এসভিজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চিরাগ শাহ্।
এর পাশাপাশি ডি’রিচের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাবেত খান এবং মিডিয়া এ্যাক্সিস,কারাট-ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্কের চিফ অপারেটিং অফিসার ও পরিচালক রাকিবুল হাসান।
ডি’রিচ-কে সব ধরনের ডিজিটাল সহযোগিতা প্রদান করবে আইসোবার, আইপ্রোসপেক্ট, এসভিজির মতো ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্কের সব ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান।
আশীষ ভাসিন বলেন, “ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্ক বিশ্বাস করে, ২০২০ সালের মধ্যে আমরা একটি শতভাগ ডিজিটাল অর্থনৈতিক সত্তায় পরিণত হব এবং বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারব।”
তিনি জানান, সবচেয়ে কাছাকাছি প্রতিযোগীর চেয়ে প্রায় ‘২.৫ গুণ বড়’ ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্ক সার্চ এবং পারফরমেন্সের বিচারে ভারতের ‘সেরা ডিজিটাল এজেন্সি’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
এছাড়াও এআই, ভিআর এবং অন্যান্য নতুন ধারার ডিজিটাল সেবা নিয়ে ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্ক সবসময় এগিয়ে আছে।
ডি’রিচ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাবেত খান বলেন, “আজ থেকে তিন বছর আগেও ব্র্যান্ডগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে খরচ করত ২ থেকে ৩ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে আমরা দেখছি দেশের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো এই খরচ বাড়িয়ে ১০ শতাংশেরও অনেক উপরে নিয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে সাধারণের চেয়েও অনেক বেশি ডিজিটাল সেবা নিয়ে আসার।
“ডেন্টসু এজিস নেটওয়ার্ক এর সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ধারা বদলে দিবে ডি’রিচ।”
ভারতের প্রথম জিরো-বাফারিং মোবাইল টেকনোলজি এসভিজির ফ্ল্যাগশিপ পণ্য ‘অ্যাপজ্যাকেট’- এর মাধ্যমে ডি’রিচ বাংলাদেশের ইন-অ্যাপ ভিডিও বিজ্ঞাপনকে ‘ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে’ বলে জানান এসভিজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চিরাগ শাহ্।
তিনি বলেন, “অ্যাপজ্যাকেট বিজ্ঞাপন দাতা এবং এজেন্সিকে ব্যবহারকারীদের অনুমতিসাপেক্ষে তাদের বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যত ডিজিটাল ইকো-সিস্টেমের ভিত্তিতে পরিণত হবে। অন্যদিকে এসভিজি গ্লোবাল অ্যাডভার্টাইজারদেরকে কেবল তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের লাভ বা বিক্রয় বাড়াতেও সাহায্য করবে।”
এই অনুষ্ঠানে ডি’ রিচ কর্মকর্তারা শিগগিরই ইনঅ্যাপ ভিডিও বিজ্ঞাপন ও প্রিমিয়াম অনলাইন ক্রিকেট প্রোপার্টি সেবা চালু করার ঘোষণা দেন।
আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ভার্চুয়ালি রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটির মতো অত্যাধুনিক সেবা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করাও ডি’রিচের লক্ষ্য বলে জানান কর্মকর্তারা।