সোমবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ‘থাইল্যান্ড উইক ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “থাইল্যান্ডে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে এফটিএ স্বাক্ষর করা হবে। উভয় দেশ এ বিষয়ে কাজ করছে।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাইল্যান্ডের অনুকূলে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। সরকার পাটজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও ডিউটি ফ্রি অথবা ন্যূনতম ডিউটি সুবিধা চেয়েছি। কিছু দিন আগে ঢাকায় জয়েন্ট ইকোমিক কমিশনের সভায় এ বিষয়ে দুইপক্ষের আলোচনা হয়।
“থাইল্যান্ড বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে।”
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর পর্যটন, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ এবং ব্যবসার জন্য থাইল্যান্ড সফর করেন। তাদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে থাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
ফল, খাদ্য, কোমল পানীয়, প্রসাধনী থেকে শুরু করে গার্মেন্ট ও ফ্যাশন সামগ্রী, জুয়েলারি, উপহার সামগ্রী, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহস্থালীর সামগ্রী, এমনকি গাড়ির যন্ত্রাংশ ও শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতিও প্রদর্শন করা হচ্ছে।
থাই দূতাবাসের আয়োজনে এ মেলা ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। এছাড়া প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের শিল্পীদের অংশগ্রহণে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।