২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটরটির ৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের একই সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি।
এই সময়ে কোম্পানিটির ২১ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করে, যা ডিসেম্বর ২০১৭ এর তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
রোববার দেশের শীর্ষ এই মোবাইল অপারেটরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্ব গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ; ভয়েস কল থেকে বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ২১ লাখ নতুন গ্রাহক অর্জন করে, যা ডিসেম্বর ২০১৭ এর তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
এই প্রান্তিকে ১১ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হওয়ায় গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
এক নজরে গ্রামীণফোনের ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিক
>> ৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা আয়, গতবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ
>> ৬ কোটি ৭৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৩ কোটি ২২ লাখ ডাটা ব্যবহারকারী
>> ট্যাক্স প্রদানের পর নিট মুনাফা ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ৬৪০ কোটি টাকা এবং ইপিএস ৪ দশমিক ৭৫ টাকা
>> প্রধানত ফোরজি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি, নেটওয়ার্ক বিস্তারে বিনিয়োগ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা
>> ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রদান, যা মোট রাজস্ব আয়ের ৮৮%
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, “আমরা নতুন তরঙ্গ ও তরঙ্গ নিরপেক্ষতার সহায়তায় সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা দিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফোরজি সেবা চালু করি। নেটওয়ার্কের মানের ক্ষেত্র আমাদের উচ্চতর অবস্থান আরো সংহত করতে একটি দৃঢ় নেটওয়ার্ক বিস্তার ও আধুনিকায়ন পরিকল্পনা আছে।
“প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশেও এই প্রান্তিকে আমরা আয় ও গ্রাহক প্রবৃদ্ধি দেখেছি। আমরা বাজারে ভয়েস ও ডাটার বেশ কিছু প্রাসংগিক অফার ছেড়েছিলাম, যা রাজস্ব আয়ের ভিত্তি এবং ব্যবহার বাড়িয়েছে।”
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, “গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে স্বাস্থ্যকর আছ বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীল অর্জন করেছে। এই অর্জন এসেছে ফোরজি চালু করার জন্য , বেশি গ্রাহক সংগ্রহ এবং ডিজিটাল সার্ভিসগুলোর জন্য পেশাদারী ফির জন্য বেশি বিনিয়োগের প্রেক্ষাপটে।
“উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং মার্কেট অফারে আমাদের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে।”