দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেও বিপিও খাত ‘বড় অবদান’ রাখতে পারেও বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিপিও সামিটের শেষ দিনের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে আমু বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিপিও শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল আইটি ও প্রযুক্তির বিকাশের জন্য দায়ী। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
“আমরা আশা করছি, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের মাধ্যমে আমরা চতুর্থ বিপ্লবের সুফল ভোগ করতে শুরু করব।”
সৃজনশীল উদ্ভাবন এবং মেধাসম্পদের লালন ও সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বিপিও খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর পরামর্শও দেন।
“ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন: চ্যালেঞ্জেস ইন বিপিও’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিপিও খাতে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার উদীয়মান অর্থনীতির জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।
আমু বলেন, “বিপিও খাতে আমাদের আয় প্রবৃদ্ধি বছরে শতকরা ১০০ ভাগেরও বেশি। এটি আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।“
প্রতি বছর লাখো শিক্ষার্থী যখন স্নাতক পাশ করার পর চাকরির জন্য ঘুরে বেড়ায়, তখন এই বিপিও খাতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন শিল্পমন্ত্রী।
“আমরা যখন আইসিটি খাত থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের কথা বলছি, তখন আমাদের ভাবতে হবে তরুণদের কথা। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ হল তরুণ, যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টদের কাজে লাগাতে পারলে আমরা সময়ের আগেই ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে বোস্টন কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনিরের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন কাজী আইটির প্রধান নির্বাহী মাইকি কাজী, লোজলি কাপলড টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী ফিরোজ এম জাহিদুর রহমান, আইবিএম ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা আমির শাহুল ও নিপুন মেহরোত্রা, ইন্টিলেনেন্ট গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক কানওয়ার বি সিংহ।