এশেলন এশিয়া সামিটে যাচ্ছে ক্র্যামস্ট্যাক

আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় এশেলন এশিয়া সামিট ২০১৮-তে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করছে স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2018, 07:15 PM
Updated : 12 April 2018, 07:15 PM

‘টপ ১০০ এপিএসি ২০১৮’- এর বাংলাদেশের নির্বাচনী পর্বে অংশ নিয়ে স্থানীয় স্টার্টআপকে বৈশ্বিক এ সম্মেলনে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে একসাথে কাজ করেছে গ্রামীণফোনের ডিজিটাল উদ্যোগ হোয়াইট বোর্ড ও ‘ই-২৭’।

১০ এপ্রিল জিপিহাউজে অনুষ্ঠিত ধারণা উপস্থাপন পর্বে ১৫টি বাংলাদেশি স্টার্টআপ বিশেষজ্ঞদের সামনে নিজেদের ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করে।

গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলোর মধ্য থেকে স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাক বৈশ্বিক এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বিচারকদের ভোটে নির্বাচিত হয়। অন্যদিকে ব্যাংককমপেয়ারবিডি ছিল উপস্থিত দর্শকদের ভোটে নির্বাচিত দল।

ক্র্যামস্ট্যাক একটি বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য খোঁজা, বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করতে পারে। ব্যাংককমপেয়ারবিডি সব ব্যাংক সেবার একটি এগ্রিগেটর, যা গ্রাহককে সেরা সেবা খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

বিজয়ী স্টার্টআপগুলো সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক এশেলন এশিয়া সামিটে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

স্টার্টআপগুলোর জন্য সংবাদ, কমিউনিটি বিষয়ক কর্মসূচি, তহবিল সংগ্রহসহ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে ই-২৭।

এশিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা স্টার্টআপগুলোর ক্ষমতায়নে কাজ করে ‘টপ ১০০ এপিএসি ২০১৮’। ‘টপ ১০০ এপিএসি ২০১৮’ সম্মেলন সিঙ্গাপুরে ‘এশেলন এশিয়া সামিটে ২০১৮’ এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে।

‘টপ ১০০ এপিএসি ২০১৮’- এর স্টার্টআপগুলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি তৈরিতে তহবিল সংগ্রহ নিয়ে প্রতি মাসে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ‘অনলাইন ইনসাইট’ পাওয়াসহ আঞ্চলিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও অন্যান্য স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের সাথে সাক্ষাৎ ও সম্পর্ক তৈরি, সিঙ্গাপুরে স্টার্টআপ নিয়ে সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং পুরো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের সাথে যুক্ত থাকার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলো হলো- আমার উদ্যোগ লিমিটেড, অ্যাপবাজার, অভিযাত্রিক, ব্যাংক কম্পেয়ার, বাড়িকই, ক্র্যামস্ট্যাক, ডক্টরকই, গারবেজম্যান, খুঁজুন ডট কম, লেটস লার্ন কোডিং, মেডিটর, স্কিলোড, মেটোরোজিকাল অ্যান্ড রিলেটেড সার্ভিসেস, সঙ্গী ও টিম রিবুট।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “আজ আমরা এখানে যা করছি তা আমরা নিয়মিত করে থাকি। প্রধানত দুটি কারণে আমরা এটা করি যা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় উদ্যাক্তো ও উদ্ভাবকদের জন্য একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। আমরা এর কেন্দ্রবিন্দু হতে চাই। এছাড়াও আমাদের কোম্পানিকে, এর সংস্কৃতি এবং এর কাজের ধরনকে পরিবর্তন করার জন্য আমরা এটা করছি।”