বুধবার সংসদে তিনি বলেছেন, “শুল্কমুক্ত সুবিধার থেকে প্রতিযোগিতামুলক অবস্থান বেশি সম্মানজনক। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা ছাড়াই ইতোমধ্যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি।“
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ফলে বাণিজ্যিক নানা সুবিধা হারানোর প্রেক্ষাপটে একথা বলেন মুহিত।
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয় ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তার এই বক্তব্য আসে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি এখন অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়েছে। আত্মিক শক্তিতে বলীয়ান হয়েছি।”
মন্ত্রীর উপস্থাপিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত বছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৫১, এবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৭ তে।
তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়লেও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি গড়ে বিগত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে।”