বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সভাপতি এমএ বাশার পাটোয়ারি; সহসভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিনও উপস্থিত ছিলেন।
বাশার পাটোয়ারি বলেন, ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে কাগজশিল্পকে শুল্ক সুবিধার আওতায় আনার পর থেকে ব্যবসায়ীরা কাগজের দাম বাড়াতে থাকে।
“সে সময় কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলা হয়েছিল। আমাদের আন্দোলনের মুখে পরে দাম কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। কিন্তু গত ১৯ মার্চ কাগজকল মালিকরা সিন্ডিকেট করে আবারও কাগজের দাম ৩০ ভাগ থেকে ৩৫ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে কাগজের দাম কেজিপ্রতি ১২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে যায়। ”
দাম বৃদ্ধির কারণে প্যাকেজিং শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন বাশার পাটোয়ারি।
“প্রতিষ্ঠান কার্টন কেনে, তারা কাগজের দাম অনুযায়ী কার্টনের দাম বাড়াচ্ছে না। এ অবস্থায় আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। কাগজের দাম বাড়ানোর ফলে মোড়কজাত পণ্যের দামও বেড়ে যাবে। যার খেসারত দিতে হবে রপ্তানি শিল্পমালিকদেরও।”
কাগজের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও এফবিসিসিআইকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্যাকেজিং মালিকরা কাগজকলে শিল্প ক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার কথা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
বাশার পাটোয়ারি বলেন, “পেপারমিল মালিকরা মধ্যস্বত্বভোগী ফরিয়া তৈরি করে আমাদের জিম্মি করে রেখেছে। সরাসরি কারখানা থেকে কাগজ না কিনে তাদের মাধ্যমে কিনতে হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে প্যাকেজিং কারখানাকে শিল্প ক্রেতা হিসেবে নিবন্ধনের দাবি জানানো হয়। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কাগজ বিক্রি না করা, ভ্যাট ছাড়া কাগজবিক্রি বন্ধ করার দাবিও জানান তারা।