একইসঙ্গে রেপো সুদহারও দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের অব্যাহত দাবির মুখে মুদ্রানীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি হাতিয়ার কমাতে বাধ্য হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা-মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রতিনিধিদের সভায় সিআরআর এবং রেপো সুদহার কমানোর যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তারই আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৩ জুন জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংককে(শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ)তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ৬ দশমিক ৫ (ছয় দশমিক পাঁচ) শতাংশ দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম ৬ (ছয়) শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়।
“এক্ষণে এ মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল হতে উল্লিখিত নগদ জমা সংরক্ষণের হার দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হবে।”
রেপো সুদহার পুনঃনির্ধারণ
রোববারের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ থেকে দশমিক ৭৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৬ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আলাদা এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নির্দেশনাও ১৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সুদহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা হচ্ছে রেপো সুদহার। বর্তমানে রেপোর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করলে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাত দিন রাখতে পারে।