১৫ এপ্রিল ঢাকায় শুরু হচ্ছে বিপিও সামিট

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতের অবস্থান তুলে ধরতে আগামী ১৫ এপ্রিল তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় শুরু হচ্ছে বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ-২০১৮।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2018, 11:23 AM
Updated : 3 April 2018, 11:23 AM

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিসেয়শন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

এই উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিও সামিটের বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিসেয়শন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী, বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন।

ওয়াহিদ শরীফ বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন, বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে ইতোমধ্যে পরিচয় পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোর্সিং খাতকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা হবে। সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে।”

বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “এই আয়োজন ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও খাতে এক লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে ভূমিকা রাখবে।”

এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা ও ফোর-জি, ফাইভ-জি নিয়ে ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে বলে জানান তিনি।

বিপিও সম্মেলনে ৪০ জন স্থানীয় বক্তার সঙ্গে যোগ দেবেন ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা; অনুষ্ঠিত হবে ১০টি সেমিনার। দুই দিনের মূল আয়োজনের আগে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশন কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজকরা।

আয়োজনে অংশীদার হিসেবে রয়েছে বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “সফলতা ও প্রাপ্তির ঝুলিতে বিপিও সামিট-২০১৬ ও ২০১৬ অসাধারণ লক্ষ্য ছুঁয়েছিল। দেশে যখন শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে সবাই ভীষণ চিন্তিত, তখন বিপিও সামিটে আসা শিক্ষার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে । বিপিও সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ে নিতে এই সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

“এবার আমাদের লক্ষ্য- ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সৃজনশীল অর্থনীতি তৈরি করে বিপিওর পথ সুগম করা।”