এজন্য নরসিংদীতে একটি কারখানা তৈরির ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাংয়ের পণ্যের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স।
মঙ্গলবার সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আলম আল মাহবুব এ ঘোষণা দেন।
আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই দেশে তৈরি স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে গ্রাহকের হাতে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রুহুল বলেন, “স্যামসাংয়ের প্রযুক্তি এবং দক্ষতা ব্যবহার করে আমরা নিশ্চিত করব যেন স্যামসাংয়ের বিশ্বমানের মানের পণ্যগুলো বাংলাদেশ গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে উপভোগ করতে পারে।
নতুন এই কারখানার ফলে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ শ্রমিক বাড়বে বলে জানান মাহাবুব।
স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন বলেন, “ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন মোবাইল উৎপাদন কারখানা ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
“আমরা নিশ্চিত যে, স্যামসাংয়ের ফোরজি স্মার্টফোনগুলো বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য অর্জনের পথে সাহায্য করবে।”
ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চিফ মার্কেটিং কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, এই কারখানার আয়তন হবে ৫৮ হাজার স্কয়ার ফুট। এতে প্রত্যক্ষভাবে পাঁচ শতাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, “কাজের বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে এবং রোজার ঈদের আগেই এই হ্যান্ডসেট বাজারে আসবে। কত ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদনে যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।“
দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে হ্যান্ডসেট রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন মেজবাহ উদ্দিন।
গত বছর জুনে স্যামসাং বাংলাদেশিদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য তুলে দিতে নরসিংদীতে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট করে। ওই উদ্যোগে স্যামসাংয়ের সঙ্গে রয়েছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।
সে সময় উদ্যোক্তারা বলছিলেন, সাড়ে ৭ লাখ স্কয়ার ফুটের এই প্ল্যান্ট থেকে বছরে চার লাখ রেফ্রিজারেটর, আড়াই লাখ মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এক লাখ ২০ হাজার এসি, দুই লাখ টিভি এবং ৫০ হাজার ওয়াশিং মেশিন তৈরি করা হবে।