বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতিকে আগামী ৩ এপ্রিল ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে হবে।
কমিশনের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে জানান, বুধবার তলবের নোটিস এ কে আজাদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একে আজাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে ঘোষিত আয়ের বাইরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে।
দুদকের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক ব্যক্তি গত অক্টোবরে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে কমিশনের অভিযোগ করেন। সেখানে বলা হয়, আজাদ তার বিভিন্ন কোম্পানির কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। আমরা এখন সেটাই অনুসন্ধান করে দেখছি।
মূলত তৈরি পোশাকের ব্যবসা দিয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ৫৯ বছর বয়সী আজাদ হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে আছে বস্ত্র, প্যাকেজিং,পাট, চা, রসায়ন, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে। তিনি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকেরও একজন পরিচালক।
বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল ২৪ এবং দৈনিক সমকাল আজাদের মালিকানাধীন টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের দুটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সমকালের প্রকাশক এবং চ্যানেল ২৪ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এর আগে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে দেশের অনেক ব্যবসায়ীর মত এ কে আজাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। রমনা থানার ওই মামলায় ঘোষিত আয়ের বাইরে তার ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা বলা হয়েছিল।
তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেক মামলাতেই দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আজাদের মামলাও তার মধ্যে একটি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আজাদ ছাত্রজীবনে যুক্ত ছিলেন বাম রাজনীতিতে। গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের আগে ফরিদপুর-৩ (সদর) ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আজাদের নাম সংবাদমাধ্যমে এলেও তার আর ভোটে লড়া হয়নি।
ফরিদপুর সদরের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। আর ভাঙ্গা-সদরপুর আসনে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ পরাজিত হন মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) কাছে।
রাজউকের পরিচালক অলিউর রহমান অভিযানের সময় সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ির মালিক রাজউক অনুমোদিত কোনো নকশা দেখাতে পারেননি। ফলে এটি একটি অবৈধ ভবন। তাই তারা ভেঙে দিয়েছেন।
এ কে আজাদ পরে এক বিবৃতিতে বলেন, সকালে বাড়ির ‘সকল বৈধ কাগজপত্র’ দেখানোর পরও অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে না নিয়ে বাড়ির একাংশ গুঁড়িয়ে দেয়। পরে তিনি রাজউকের চেয়ারম্যানকে অনুমোদিত নকশা, নামজারিসহ ‘যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র’ দেখালে ভাঙার কার্যক্রম বন্ধ হয়।