সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল মেলার উদ্বোধন করবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান মেলার ৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টলে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পর্যটন সংস্থা, বিমান সংস্থা, ট্রাভেল ও ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও রিসোর্ট, পর্যটন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, অনলাইন বুকিং/পোর্টাল।
২২-২৪ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত যে কেউ আসতে পারবে এ মেলায়। মেলার প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রবেশ কুপনের ওপর মেলার শেষদিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। র্যাফল ড্র বিজয়ীদের জন্য রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যের এয়ার টিকেট, ট্যুর প্যাকেজ, তারকা হোটেলে রাতযাপন, লাঞ্চ ও ডিনার কুপনসহ বিভিন্ন পুরস্কার।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন সংস্থা, নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড, ট্যুরিজম অথোরিটি অব থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ট্যুরিজম প্রমোশন ব্যুরোর মতো ৫টি জাতীয় পর্যটন সংস্থার অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের ৪টি এয়ারলাইন্সই এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছাড়াও রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মেলা চলাকালীন দর্শনার্থীদের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে বিমান টিকেট, আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবা উপস্থাপন করবে।
ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করছে এ মেলার।
দেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’ টাইটেল স্পন্সর হিসেবে সহায়তা প্রদান করছে। এছাড়াও পার্টনার হিসেবে সহায়তা করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অনুষ্ঠানের প্রথমে কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে উপস্থিত সকলে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও দি বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও মো. নাসির উদ্দীন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) আতিক রহমান চিশতি।