ব্যাংক নির্বাহীদের বেতনে লাগাম টানার পরামর্শ

ব্যাংকের নির্বাহীদের বেতনের লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2018, 12:05 PM
Updated : 18 March 2018, 12:05 PM

তিনি বলেছেন, “দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের বেতন লাগাম ছাড়িয়ে গেছে। তাদের বেতনের একটা লাগাম থাকা দরকার।”

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের আলোচনায় এ প্রস্তাব রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।

ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভাপতিত্ব করেন।

সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের ব্যাংকগুলোর একজন এক্সকিটিভ, এমডি, সিইও‘র বেতন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। যেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর বেতন দুই লাখ টাকা। ব্যাংকের নির্বাহীদের এই বেতন অস্বাভাবিক বেশি। এতে লাগাম টানা দরকার।”

ব্যাংক খাতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে সতর্ক হতে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি।

বিদেশি মোবাইল কোম্পানিগুলোকেও ‘কিছুটা চাপ দেওয়ার’ পরামর্শ দেন হাছান মাহমুদ।

“যেসব বিদেশি কোম্পানি সব লাভের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন সব নিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে নজরদারি থাকা উচিত।”

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী জানান, নাগরিকদের কর দিতে উৎসাহ জোগাতে ‘কেউ এক টাকা কর দিলেই তাকে ট্যাক্স কার্ড’ দেওয়া হবে।

সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতিরা আগামী বাজেটে করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রীকে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা, ব্যক্তি আয়ের সর্বোচ্চ শ্রেণির করের পরিমাণ কমানোর সুপারিশও করেন তারা।

হাছান মাহমুদ বলেন, “গত নয় বছরে মাথা পিছু আয় তিন গুণ বাড়লেও কর দাতা বেড়েছে দ্বিগুণ। করের আদায় বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সবার জন্য বিনামূল্যে ট্যাক্স ফাইল করা দরকার।”

করের হার কমালে আরও অনেকে কর দিতে উৎসাহিত হবেন বলে মনে করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, “অনেক ব্যবসায়ী জনগণের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও সরকারি কোষাগারে জমা দেয় না। ভ্যাট আদায় বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামও করের হার কমানোর সুপারিশ করেন।

পরিবেশবান্ধব কারখানা যারা করবে, করের ক্ষেত্রে তাদের ছাড় দেওয়ার সুপারিশও করেন তিনি।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশা উপকূলীয় মাছ চাষ উন্নয়নে আরও বেশি বরাদ্দের দাবি জানান। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে হরিণ চাষের অনুমতি দিতে সরকারে প্রতি আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি উপজেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সঙ্কট দূর করার জন্য সরকারকে মনোযোগী হতে বলেন।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন আ ফ ম রুহুল হক, মকবুল আহমেদ, সুবিদ আলী ভ্ইূয়া, জাহিদ আহসান রাসেল, রেবেকা মোমেন।