ইইউয়ের কাছ থেকে ‘জিএসপি প্লাস’ নিতে প্রস্তুতি শুরু

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বিশেষায়িত বাজারসুবিধা ‘জিএসপি প্লাস’ কর্মসূচির সুবিধা নিতে প্রস্তুতি শুরু করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2018, 09:49 AM
Updated : 20 Jan 2021, 02:06 PM

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একথা বলেন।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যে শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদন করার যোগ্য হিসেবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে নানা দরকষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত হলেও এখন পাওয়া বাণিজ্যিক নানা সুবিধা হারাতে হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন হলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।

যে কোনো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ মোকাবেলা করতে পারবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন যারা আমাদের জিএসপি দেয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা তাদের কাছে ‘জিএসপি প্লাস’ চাইবো, তার জন্য যা যা করা দরকার তা করে চলেছি।

“যারা আমাদের জিএসপি দেয় না তাদের সাথে আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে প্রি ট্রেইড এগ্রিমেন্ট করতে চাইবো এফটিএ, তারা আমাদের দেশে শুল্পমুক্ত সুবিধা পাবে আমরাও তাদের দেশে একই সুবিধা পাব।”

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে বিভিন্ন সংস্থার সমালোচনা করেছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কোন কোন সংস্থা আছে না, ভাল কাজটাকে বলে চ্যালেঞ্জ, এটা মোকাবেলা করতে হবে। যেটা মোকাবেলা করেই তো আসছি।

“এমন সংস্থা বলেছিল ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা হতে পারবো না। আমি নাম বললাম না, সংস্থাটি হচ্ছে যারা গবেষণা করে।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন,“আমরা স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হচ্ছি বিএনপি কি খুশী হবে? হয়তো এর বিরুদ্ধেও বলতে পারে।”

বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “১০০টি ইকোনমিক জোন করতে যাচ্ছি।উন্নয়শীল দেশ রূপান্তিরিত হলে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়বে এবং আকৃষ্ট হবে।