আগামী ১ মার্চ থেকে এই নিয়ন্ত্রণ সীমা কার্যকর করতে সোমবার অপারেটরগুলোর কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গ্রাহকের অজান্তে ‘পে পার ইউজ’র বিল ৫ টাকার বেশি করা যাবে না; তবে গ্রাহক চাইলে এই হারে ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।
সাধারণত মোবাইল ইন্টারনেটে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অপারেটরের গ্রাহকরা নানা প্যাকেজ নেন।
যদি কোনো গ্রাহকের ডেটা প্যাক থেকে থাকে কিন্তু মেয়াদ অনুযায়ী ব্যবহারের কোটা অতিক্রান্ত হয়ে যায় বা ডেটা শেষ হয়ে যায়, তখন অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে ‘পে পার ইউজ’ হারে বিল দিতে হয়।
এ্ই হার সাধারণত ০.০১ টাকা/১০ কেবি (+ট্যাক্স) বা ০.০২ টাকা/১০ কেবি চার্জ করা হয়ে থাকে; তবে অপারেটরদের ভিন্ন ভিন্ন হার রয়েছে।
অনেক সময় গ্রাহকদের প্যাকেজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা প্যাকেজটি নবায়ন করেন না বা পাকেজটি বন্ধ করা হয় না, তখন তার ইন্টারনেট ব্যবহার ‘পে পার ইউজ’ হারে চলে। এই হারে টাকা কাটার বিষয়টি অনেক সময় গ্রাহকের অজান্তেই ঘটে যায়।
“তবে কোনো গ্রাহক ৫ টাকার বেশি লিমিট নিতে চাইলে তার কাছ থেকে এমএসএস বা ইউএসএসডির মাধ্যমে কনসেন্ট বা সম্মতি নিতে হবে, যাতে করে গ্রাহকের কাছ থেকে পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে অপারেটর বা গ্রাহকের দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।”
বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা এবং গ্রাহকরা যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হন এ বিষয়টা বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।”
এছাড়া মোবাইল অপারেটরদের এই সঙ্গে ২০টি রেগুলার অফার এবং ১৫টি প্রমোশনাল অফার অর্থাৎ সর্বমোট অফার ৩৫টির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলেছে বিটিআরসি।
কোন কোন অফার রাখা হবে তার তালিকাও ১ মার্চের মধ্যে পাঠাতে অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।