মুন্নু গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশীদ মাইমুনুল ইসলাম শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েক হাত ঘোরার কারণে পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যায়।
“কিন্তু আমরা যদি নিজেদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারি, তাহলে মানুষ জানবে- তারা যত দাম দিয়ে পণ্য কিনছেন, আমাদের পণ্যের দাম আসলে তত নয়।”
নির্ধারিত খুচরা বিক্রয় মূল্য না থাকায় মুন্নুর পণ্য দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শনিবার ঢাকায় প্রথমবারের আয়োজিত ‘ফ্রাঞ্চাইজি বাংলাদেশ’ এক্সপোর ফাঁকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন রশীদ মাইমুনুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রাণ গ্রুপের ‘বেস্ট বাই’ এর আদলে মুন্নু গ্রুপের এই খুচরা বিক্রির নেটওয়ার্কের নাম হবে ‘মুন্নু হোম’।
মাইমুনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সিরামিক পণ্যের ৩০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে, যার ৪০ শতাংশের বেশি মুন্নুর নিয়ন্ত্রণে।
আগামী বছরের মধ্যে নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশে আমাদের আটটি সিরামিক কারখানা রয়েছে। কিন্তু তারপরও স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
“বর্তমানে আমরা চীনামাটি এবং বোন চায়না মিলিয়ে ১৫ লাখ পণ্য তৈরি করতে পারি। আশা করছি, এটা আগামী মার্চের মধ্যে ২৫ লাখ হবে।”
মাইমুনুল বলেন, “আমরা ডিলারদের কাছে পাইকারিতে পণ্য বিক্রি করি। ডিলাররা একটি নির্দিষ্ট লাভ রেখে তা বিক্রি করে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। খুচরা বিক্রেতারা আবার সেই পণ্য নিজেদের লাভ রেখে বিক্রি করে।
“কিন্তু আমরা যে সমস্যাটা দেখেছি তা হলো, এই দাম একেক জায়গায় একেক রকম। একই পণ্যের দাম গুলশান, মিরপুর অথবা ধানমণ্ডিতে একেক রকম। এমনকি ঢাকা এবং ঢাকার বাইরেও দামের পার্থক্য রয়েছে। যেহেতু নির্দিষ্ট খুচরা বিক্রয় মূল্য নেই, তাই খুচরা বিক্রেতা ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা বুঝে দাম রাখে।
“এই ব্যবস্থার (নিজস্ব খুচরা বিক্রির নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে আমরা সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে চাই।”
তিনি বলেন, “ফ্রাঞ্চাইজি পাওয়ার পর আমরা একটি খুচরা বিক্রয় মূল্য ঠিক করে দেব এবং তারা (ফ্রাঞ্চাইজিগুলো) একটি কমিশন পাবে। একটি নির্দিষ্ট মূল্য হবে এবং মানুষ এতে জানতে পারবে যে, পণ্যের দাম আসলে এখনকার মত তত বেশি নয়।”
এজন্য তারা যৌথ উদ্যোগ এবং মুনাফা ভাগাভাগি করতেও রাজি বলে জানান মুন্নু গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশীদ মাইমুনুল ইসলাম।