ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গঠনে বাধা দূর করায় তাগিদ

নতুন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের অর্থায়নের বিকল্প উৎস হিসেবে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার বিষয়ে একটি সভা থেকে তাগিদ এসেছে।

রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সিং ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এবিষয়ে মত দেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক ( প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রবন্ধে বলা হয়, এসএমই এবং পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রসারে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ বিষয়ে সরকার আইন অনুমোদন দিলেও সমন্বয়হীনতার কারণে নতুন উদ্যোগের বিকল্প অর্থায়নের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।

তিনি বলেন, “ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ক্ষেত্রে বেশকিছু বাধা রয়েছে। এসব বাধা একসঙ্গে দূর করা সম্ভব নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এসব বাধা কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে।”

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, “নতুন উদ্যোক্তাদের সহজামানত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু আইটি এবং পর্যটন খাতে এসব উদ্যোগতাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, যাতে তাদের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হয়। এতে আর্থিক অর্ন্তভুক্তি বেড়ে যাবে।

“ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মার্কেটের উন্নয়নে অনভিজ্ঞদের অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। তা নাহলে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে না। এ খাতের  উচ্চ ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।”

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, নতুন আইডিয়াই হচ্ছে একটা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ফান্ডে সহযোগী হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ভূমিকা পালন করতে হবে। সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশনকে এক্ষেত্রে সক্রিয় হতে হবে।

বিডি ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেকোনো উদ্যোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকবে। পোর্টফোলিও দেখে সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে।

ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ঝুঁকিগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানসম্মত অডিট রিপোর্ট না পাওয়াসহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড দুটোই আলাদা বিষয়। এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার নীতিমালা প্রয়োজন।