মঙ্গলবার ঢাকা ক্লাবে ফোর জি তরঙ্গের নিলাম এবং প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা সুবিধা দেওয়ার পর তিনি বলেছেন, এখন আর কোনো অজুহাত চলবে না।
মোবাইল অপারেটরদের সেবায় অসন্তোষ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাসা থেকে অফিসে যেতে ৮ বার কলড্রপ হয়। কেন মান সম্মত সেবা দেওয়া যায় না তার কারণ হিসেবে টেক নিউট্রালিটি নেই বলে জানিয়েছিল অপারেটরা।
“আমরা তরঙ্গ ও টেক নিউট্রালিটির দরজা খুলে দিয়েছি, কোনো অবস্থাতে আর কোনো ত্রুটি গ্রহণযোগ্য হবে না। মালয়েশিয়ার চেয়ে ১৫ গুন গ্রাহক থাকবে আর কোয়ালিটি দিতে পারবেন না। সেবার ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকবে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না।”
বাংলাদেশের জনগণকে ‘খয়রাতি সুবিধা’ দিচ্ছে না-এই কথাটি মোবাইল অপারেটরদের মনে রাখার তাগাদা দিয়ে তিনি বলেন, “গুণগত মান অগ্রাধিকার, এটি ফুলফিল করতে হবে।… আমি যে অর্থ দেব তার বিনিময়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “ইন্টারনেটের জন্য আমি টাকা দেই তবে গতি পাই না। দেশজুড়ে যদি ইন্টারনেটের গতি দিতে পারি তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। শতকরা ৯৫ ভাগ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, এই চ্যালেঞ্জটা অপারেটরদের সাথে মিলে করতে হবে, দেশের মানুষকে মোবাইল সেবা এভাবে দিতে চাই যাতে কোনো অভিযোগ না পাই।”
মান সম্মত সেবা দিতে দীর্ঘদিন ধরে তরঙ্গ বরাদ্দ ও প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার দাবি করে আসছিল অপারেটররা। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও তরঙ্গ বরাদ্দ পাওয়ায় অপারেটরদের সেবার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করছে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
এদিন নিলামে অংশ নেওয়া দেশের দুই অপারেটর বাংলা লিংক ও গ্রামীণফোনকে ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ দিয়ে মোট তিন হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা পেয়েছে সরকার।
আর টু জি ও থ্রি জি সেবার জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দিয়ে (যাতে ওই তরঙ্গ যে কোনো প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা যায়) গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছ থেকে সরকার পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ দশমিক ০৮ কোটি টাকা।