ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগাতে প্রাথমিক আলোচনা

ঋণ কেলেঙ্কারির ও অব্যবস্থাপনায় তারল্য সঙ্কটে থাকা বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংককে উদ্ধারে প্রাথমিক আলোচনায় মূলধন জোগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2018, 12:11 PM
Updated : 13 Feb 2018, 12:11 PM

তবে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে ব্যাংকটিকে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি মঙ্গলবারের বৈঠকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে এই বৈঠকে সোনালী, রূপালী, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আইসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন গভর্নর ফজলে কবির।

চার ঘণ্টার এই বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইউনুসুর রহমানও ছিলেন বৈঠকে।

এই চারটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারমার্স ব্যাংকের মূলধন জোগান দেবে।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছালাম সাংবাদিকদের বলেন, “ফারমার্স ব্যাংক তারল্য সঙ্কটে ভুগছে, তাই ব্যাংকটিকে মূলধন দেওয়া হতে পারে।

“এ বিষয়ে আজ ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এটা প্রাথমিক আলোচনা, যা চলবে আরও তিনদিন। তবে কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।"

ফারমার্স ব্যাংকের শাখা এখন ৫৪টি

রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধানও বলেন, ব্যাংকটিকে মূলধন জোগান দেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

যারা মূলধন জোগান দেবে, তারা ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকবে কি না- জানতে চাইলে বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিস্তারিত জানাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।”

আইসিবির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, "ব্যাংকটিকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এটাকে উদ্ধার করতেই বৈঠক হয়েছে। মূলধনের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।"

যাত্রার তিন বছরেই ধুঁকতে থাকা ফারমার্স ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়মের জন্য ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতাদের দায়ী করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

চাপের মুখে সম্প্রতি ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সংসদ সমস্য মহীউদ্দিন খান আলমগীরকে। তিনি অনিয়মের অভিযো অস্বীকার করেন।

২০১৬ সালে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম দেখে ফারমার্স ব্যাংকে পর্যবেক্ষক দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটি চার বছর পেরিয়ে এখনও গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না, পরিবেশ মন্ত্রণনালয়েরও ৫০৮ কোটি টাকা ব্যাংকটিতে আটকে পড়েছে।

তারল্য সংকটে পড়ে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা আমানত চেয়ে কোন সাড়া পায়নি ব্যাংকটি।