মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদের উপস্থিতিতে নিলামের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
নিলামে অংশ নিচ্ছে দুটি প্রধান মোবাইল অপারেটর; পৃথক টেবিল নিয়ে বসেছেন বাংলা লিংকের সিইও এরিক অস ও গ্রামীণ ফোনের সিইও মাইকেল ফলি।
বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম জানান, ফোর জি তরঙ্গ নিলামে চার অপারেটর আবেদন করলেও শুধু গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক এ নিলামে অংশ নিচ্ছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল নিলামে অংশ না নেওয়াতে পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভবনা আর থাকল না। দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবিও নিলামে অংশ নিচ্ছে না।
ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্য ঠিক করা হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজে ৩০ মিলিয়ন ডলার। আর থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দুটি ব্র্যান্ডে নিলামে অংশ নিতে বাংলালিংক ৩০০ কোটি টাকা এবং গ্রামীণফোন একটি ব্র্যান্ডে অংশ নিতে ১৫০ কোটি টাকা বিড আর্নেস্ট মানি জমা দিয়েছে।
৯০০ মেগাহার্টজে কোনো অপারেটরের আগ্রহ না থাকায় এ তরঙ্গে নিলাম হচ্ছে না।
চারটি ব্লকে এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজে (১ম ব্লক- ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ, ২য় ব্লকে ৫ মেগাহার্টজ করে দুটি এবং দুই দশমিক ৪ মেগাহার্টজ আরেকটি ব্লক) এবং দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ৫টি ব্লকে (প্রতি ব্লকে ৫ মেগাহার্টজ করে) এ নিলাম হবে।
টু-জির ৯০০ ও ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড এবং থ্রিজির ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের মিলিয়ে গ্রামীণফোনের হাতে মোট তরঙ্গ রয়েছে ৩২ মেগাহার্টজ। এছাড়া বাংলালিংকের হাতে ২০ মেগাহার্টজ এবং রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিটকের হাতে রয়েছে ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে।
রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর রবির তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টর্জে।
বিটিআরসির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার বিটিআরসি কার্যালয়ে নিলাম মহড়ায় বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্টজ থেকে দুটি ব্লক (১০ মেগাহার্টজ) এবং ১৮০০ মেগাহার্টজ থেকে একটি ব্লকে আরও ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিয়েছে। গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্টজ থেকে দুটি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ নিয়েছে।