বিজিএমইএতে ভোট হচ্ছে না, সিদ্দিকুরই থাকছেন

এক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও শেষ মুহূর্তে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন থেকে সরে এসেছে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

ফয়সাল আতিক নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2018, 01:13 PM
Updated : 30 Jan 2018, 01:13 PM

বর্তমান সভাপতি, স্টার্লিং ডেনিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান নেতৃত্বাধীন কমিটিকে আরও এক বছর এই সংগঠন চালানোর অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যিক সংগঠন (ডিটিও) অনুবিভাগের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিজিএমইএর নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।”

গত ২৯ জানুয়ার বিজিএমইএকে চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আজম।

চিঠি পেয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান কমিটি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।

মেয়াদ বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উত্তরায় বিজিএমইএর নতুন ভবন নির্মাণ, নতুন মজুরি বোর্ড গঠন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আগামী এক বছর পোশাক খাতের জন্য কঠিন সময়। বিষয়টি অনুধাবন করে পোশাক শিল্পের বড় ব্যবসায়ীরা বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। সরকারও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিয়েছে।”

সিদ্দিকুর রহমান

এই অনুরোধ আপনি করেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জ্যেষ্ঠদের পরামর্শে’ বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে তার নামে অনুরোধটি করা হয়েছিল।

সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নামে কারখানা মালিকদের দুটি প্লাটফর্ম থেকে নেতৃত্ব নির্বাচন করে আসছিল বিজিএমইএ।

সর্বশেষ ২০১৫ নির্বাচনের ক্ষণে দুই পক্ষ সমঝোতা করে সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানকে বিজিএমইএর সভাপতি করে।

সিদ্দিকুরের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর। তবে বিভিন্ন কারণে নির্বাচন না হওয়ায় মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। আগামী মার্চে বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছিল।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। তার একদিন আগেই নির্বাচন বাতিলের চিঠি দিল মন্ত্রণালয়।

তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন এড়িয়ে আবারও সমঝোতার কমিটি করা হচ্ছে বলে মালিকদের মধ্যে খবর রটে গিয়েছিল।

স্বাধীনতা পরিষদের নেতারা

তখন সমঝোতা ঠেকাতে ‘স্বাধীনতা পরিষদ বিজিএমইএ’ নামের আরেকটি প্লাটফর্মের ঘোষণা আসে মালিকদের মধ্য থেকে। তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণাও দেন।

স্বাধীনতা পরিষদের আহ্ববায়ক ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স (ডিএসএল) গ্রুপের মালিক জাহাঙ্গীর আলম পূর্ণ প্যানেল নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসার পর নির্বাচন প্রক্রিয়া থেমে গেল। দুয়েক দিনের মধ্যে আমরা এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য জানাব।”

ফোরাম থেকে আনিসুর রহমান সিনহা, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বিজিএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সম্মিলিতি পরিষদের প্রতিনিধি। এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আতিকুল ইসলাম, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, টিপু মুনসী ও সালাম মুর্শেদী এই ফোরাম থেকে বিজিএমইএর সভাপতি হয়েছিলেন।