দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছেন না বিক্রেতারা। তাদের ভাষ্য, মাসের শুরু থেকেই একটু একটু করে সবজির দাম বাড়ছে।
শুক্রবার মিরপুর ৬ নম্বর ঈদগাঁমাঠ কাঁচাবাজারে প্রতিটি লাউয়ের দাম চাওয়া হচ্ছিল ১০০ টাকা। অধিকাংশ ক্রেতাই দাম জানতে চেয়ে লাউ না কিনেই ফিরে যান। মাছ ও অন্যান্য শাক সবজি কিনে চলে যাচ্ছেন তারা।
আমেনা নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক গৃহবধূ বলেন, “যেভাবে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে তাতে কেনাকাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
মিরপুর ৬ নম্বর বাজারে প্রতি কেজি শিম ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। মাঝারি ধরনের ফুল কপি বিক্রি হয় ৪০ টাকায়। অধিকাংশ সবজির দাম গত দুই সপ্তাহে কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান তারা।
ঈদগাঁমাঠ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই বাজারে মাছ, মুরগি, হাঁস সরাসরি ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে আসে। আর সবজি আসে মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার থেকে।
“এসব বাজারে সবজির দাম বেড়ে গেলে এখানেও দাম বেড়ে যায়। বেশ কিছু দিন ধরে পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরায় সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।”
মিরপুর-১ নম্বর বাজারে সবজির পাইকার সোলায়মান বলেন, কাঁচামালের (শাক-সবজি) দাম সব সময় উঠানামার মধ্যে থাকে। দাম আজ একটু বেশি তো কাল কম। আবার মাল আসতে দেরি হলেও দাম বাড়ে। অনেক মাল জমা হয়ে গেলে হঠাৎ দাম কমে যায়।
“সম্প্রতি সবজির উৎপাদন কিছুটা কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহও কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে সামগ্রিকভাবে সবজির দামের উপর।”
এদিন কারওয়ানবাজারে কেনাকাটা করতে আসা মুন্না রায়হান জানান, এই বাজারেও অধিকাংশ সবজির দাম বাড়তি। প্রায় সব ধরনের সবজি প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
“গাজর, করলা, শিমসহ প্রায় সব সবজি ৫০ টাকা করে কেজি। কেবল পেঁপে-মুলা পেলাম ২০ টাকা করে,” বলেন মুন্না।
বাজারে নতুন আসা পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহ আগে কিছুটা কমলেও এই সপ্তাহে নতুন করে দাম কমেনি। ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর দেশীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলুর দামও রয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে।
তুলনামূলক স্থিতিশীল দামে বিক্রি হচ্ছে সাগর ও মিঠাপানির মাছ। মিরপুর বাজারে কেজি ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিভিন্ন আকারের রুই মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আবার ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে টেংরা, বোয়াল, শিং, কোরাল মাছসহ নদী ও খালবিলের মাছ পাওয়া যাচ্ছে।