নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর এনআরবিসির এমডি দেওয়ান মুজিবকে অপসারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তা চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাই কোর্টে গেলে এক মাস আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আদালত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশ স্থগিত করে দেয়।
রোববার হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ১১ জানুয়ারি শুনানির দিনও ঠিক করে দেন তিনি।
ফলে দেওয়ান মুজিবকে অপসারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশই আপাতত বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে এনআরবিসি ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন ফজলে নূর তাপস। দেওয়ান মুজিবের পক্ষে শুনানি করেন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম চৌধুরী; তার সঙ্গে ছিলেন হামিদা চৌধুরী।
হামিদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনআরবিসি ব্যাংক। সে আবেদনের শুনানি নিয়েই চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে আগামী ১১ জানুয়ারি আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
“ফলে বলা যায়, দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশই আপাতত বহাল থাকছে।”
এদিকে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের পর দেওয়ান মুজিবকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় এনআরবিসির নতুন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
যাত্রা শুরুর চার বছরেই ঋণ বিতরণসহ নানা অনিয়মে ধুকছে এনআরবিসি ব্যাংক। ৭০১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে গুরুতর অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসার পর গত বছর ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক বসিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তারপর গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এমডিকে অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছিল। তখন তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন দেওয়ান মুজিব।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে পরিচালনা পর্ষদ ঢেলে সাজানোর পর ১০ ডিসেম্বর ছুটিতে পাঠানো হয় দেওয়ান মুজিবকে। তার পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমডি কাজী মো. তালহা।