গত এক সপ্তাহে চড়া মূল্যে বিক্রি হওয়া আরও কিছু পণ্যের দাম কমার পাশাপাশি মাছ-মাংস-শাক-সবজির বাজারে নতুন করে দাম বাড়েনি।
বছরের প্রথম শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, মিরপুরের মনিপুর বাজার, মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিন কারওয়ানবাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে বিক্রি হয় পেঁয়াজ।
তবে মিরপুরের পীরেরবাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজেরে কেজি ৮৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা।
এ বিষয়ে কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোফাজ্জলের বক্তব্য, বাড়ার খবর দ্রুত ছড়ালেও কমার খবরটি ব্যবসায়ীরা সহজে স্বীকার করেন না। মাঝখানে কয়েকদিন ব্যবসা করে নিতে চান।
কারওয়ানবাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। তবে ঢাকার অন্যান্য বাজারে কাঁচা মরিচের সর্বনিম্ন দাম কেজি প্রতি ৮০ টাকাই রয়েছে।
সবজির বাজারে লাউ ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ৪০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, শালগম ১৫ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে কারওয়ান বাজারে।
শীতের শুরুতে প্রতি ডজন (১২টি) ফার্মের মুরগির ডিম ৭০ টাকায় নামলেও গত দুই সপ্তাহে তা বেড়ে ৮০ টাকায় উঠেছে।
এ সময় ব্রয়লার মুরগির কেজিও বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়, যা দীর্ঘদিন (নভেম্বর-ডিসেম্বর) ১২০ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারে চালের দোকান মিরাজ অ্যান্ড সন্সের মালিক মিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চালের দাম বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ টাকা করে বেড়েছিল। তবে এর পর থেকে স্থিতিশীল আছে।
খুচরায় মিনিকেট ৬০ টাকা, বিআর আঠাশ ৫০ টাকা, নতুন ধানের নাজিরশাইল চাল ৬০ টাকা, পুরোনো নাজির ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মিরাজ।
সিটি জেনারেল এন্টারপ্রাইজের কর্মী শামীম বলেন, বাজারে ভারত থেকে আসা চাউলের দাম তুলনামূলক কম।
“ইন্ডিয়ার নূরজাহান মিনিকেট ৫৪ টাকা করে, আর মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।”