ব্যক্তিগত ব্যবহার বা অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আনার আরও সহজ করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগ পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফি মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সম্প্রতি শুল্ক ও গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহা-পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্যক্তি পর্যায়ে হ্যান্ডসেট আমদানির সংখ্যা ৫টির পরিবর্তে ৮টি করার এই সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যা কার্যকর হবে।
বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রত্যেক যাত্রী প্রতিটি বোর্ডিং পাস বা সংশ্লিষ্ট ভ্রমণ দলিলের বিপরীতে ৮টি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিটিআরসি’র অনাপত্তিপত্র ছাড়া খালাস করতে পারবেন। তবে এ মোবাইল হ্যান্ডসেটের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি বিনাশুল্কে এবং বাকিগুলোর শুল্কায়নে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইন বা বিধি প্রযোজ্য হবে।
আটটির বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে আমদানির তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে বিটিআরসি থেকে ‘ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট’ নিয়ে খালাস করা যাবে।
বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“ব্যক্তিগত ব্যবহার বা অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ে আসতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়। এর পুরোটাই আমদানি করা হয়।
হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে প্রতি তিনটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের মধ্যে একটি অবৈধভাবে আমদানি হয়। আর এজন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় হাজার কোটি টাকা।