শনিবার রাতে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
পর্যটনকে দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে এই খাতকে সমৃদ্ধ করতে এয়ারওয়েজগুলোর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী মেনন।
তিনি বলেন, “দেশের এয়ারওয়েজ ইন্ডাস্ট্রি বেড়ে চলছে, মানুষও এখন বিমানে চড়ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।”
বিমান পরিবহন খাতের নানাবিধ সমস্যা দূর করার পাশাপাশি বিমান বন্দরগুলোর অবকাঠামোগত ও সেবার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। শুধু মানুষ নয়, এটি দেশের সংস্কৃতি ও পতাকাকে বহন করে নিয়ে যায় দেশ থেকে দেশান্তরে।”
সাত বছরের এই ‘সফল পথচলার’ পেছনে সেবাগ্রহীতা, যাত্রী ও সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সিইও ফজলে আনোয়ার।
২০১০ সালের ১০ নভেম্বর দুটি ড্যাশ-৮কিউ ৩০০ উড়োজাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে হাবিব গ্রুপের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
২০১৩ সালের ১৫ জুলাই দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ দিয়ে কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে এর যাত্রা শুরু হয়।বর্তমানে মাস্কট, দোহা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতা, কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক রুটে এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
বর্তমানে রিজেন্টের বহরে দুটি ড্যাশ-৮ কিউ ৩০০ এবং ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এয়ারক্র্যাফট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী, হাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।