‘পাওনা’ কর নিয়ে গ্রামীণফোনের বক্তব্য

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ গ্রামীণফোনের কাছে দুই হাজার ১৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে এনবিআর’র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটরটি বলেছে, বিষয়টি এখনও আদালতে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2017, 05:39 PM
Updated : 16 Nov 2017, 05:39 PM

এনবিআর’র বৃহৎ করদাতা ইউনিটের  (এলটিইউ) কমিশনার মতিউর রহমান বুধবার বলেছিলেন, গ্রামীণফোনের কাছে মূসক বাবদ ২ হাজার ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এটা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কোম্পানিটি ট্রাইব্যুনালে গেলেও হেরে গেছে। তাই তাদের এই টাকা দিতে হবে।

এজন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “এলটিইউ-ভ্যাট, বিএসইসি এর কাছে লেখা চিঠিতে নির্দিষ্ট কিছু মামলার কথা উল্লেখ করেছে, উক্ত মামলাসমূহ বিভিন্ন বিচারিক আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও আমরা এনবিআর, এলটিইউ ভ্যাট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে এগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি।

“এছাড়া আমরা অব্যাহতভাবে প্রতিটি মামলা পর্যালোচনা করছি এবং আইএফআরএস ও বিএফআরএসসহ সকল আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় হিসাবরক্ষণ মান অনুসরণ করে আমাদের অ্যাকউন্টসে প্রয়োজনীয় প্রভিশন গ্রহণ করি।” বাংলাদেশের বৃহত্তম করদাতা এবং গত পাঁচ বছরে কর ও বিভিন্ন ফি হিসেবে ৩০ হাজার ৪০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে গ্রামীণফোনের জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ফোলি।

ওই অর্থের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকার কথা জানিয়ে মাইকেল ফোলি বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই মামলাগুলোর ন্যায্য ও স্বচ্ছ সমাধান চাই। অন্য যে কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন সময়ে কর কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের মতানৈক্য হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আদালতই মতানৈক্য দূর করার যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং আমরা চূড়ান্ত রায় মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”