এতদিন এক কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তার জন্য গুণতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ঢেড়শের কেজিও উঠেছে ৮০ টাকায়। কাঁচামরিচের দাম কেজিপ্রতি নিয়মিত দেড়শ’র উপরে থাকছে, মাঝে মাঝে উঠছে ২০০ টাকার কাছাকাছি। বাড়তি রয়েছে পুঁই, পালং ও লাল শাকের দাম। লাউও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
সাগরে নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার দিনভর টানা বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকাসহ সারা দেশ। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম থাকায় ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে মাছ-মাংস, শাক-সবজি কিংবা তরকারির দামে কিছুটা ছাড় দিতে হয় বিক্রিতাদের।
তারপরেও মহাখালী, মণিপুর, মিরপুরসহ কয়েকটি কাঁচাবাজারে ঢেড়শ ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা ও সিম ১৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হয়। এগুলোর মধ্যে পটল ও চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ, মাংসের দামে তেমন হেরফের হয়নি। আগের সপ্তাহের মতোই রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম, ডজন ৯০ টাকা।
মহাখালী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি শাহজাহান মিয়া জানান, চলতি সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকদিন ধরেই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা।
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না বিক্রেতারা। রসুনের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, দেশি-বিদেশি দুটোর কেজিই মিলছে ১০০ টাকার মধ্যে।
চালের দাম আরও কিছুটা কমার কথা জানিয়েছেন মিরপুরের মণিপুরের একজন বিক্রেতা।
“গত এক মাসে এটিই চালের বাজারে ইতিবাচক খবর,” বলেন তিনি।
বাজারে ভারতীয় পাইজাম কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়, ভারতীয় স্বর্ণা চাল ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মানিক মিয়া।
চালের দাম কমার কথা বলেছেন বাড্ডার পাইকার দোকান সাঁতারকুল রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক বিপ্লব হোসেনও।
তিনি বলেন, রশিদের মিনিকেট চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা কমেছে। অন্যান্য মিলের চালের দামও বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে কমেছে।