দেশে স্মার্টফোন তৈরিতে আসছে সিম্ফনি-উই

দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন দেশেই স্মার্টফোন তৈরির কারখানা চালু করার পর বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে আসছে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানিও রয়েছে।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2017, 04:51 PM
Updated : 18 Oct 2017, 04:56 PM

মোবাইল ব্র্যান্ড ‘সিম্ফনি’ ও ‘উই' ইতোমধ্যে কারখানা নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট কারখানা স্থাপনে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

বিটিআরসির মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়ালটনের পর ‘আমারা হোল্ডিং লিমিটেড’, যাদের মোবাইল সেট ‘উই' ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত হয় তারা কারখানা করতে অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া স্যামসাং ও দেশীয় ব্র্যান্ড সিম্ফনি কারখানা স্থাপনে আলোচনা করেছে।”

গত ১০ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশি কোম্পানি ওয়ালটনের স্মার্টফোন কারখানা। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের এই কারখানায় বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদনের কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সিম্ফনির পরিচালক (বিপণন) আফরাফুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আশুলিয়ায় তাদের প্ল্যান্টের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

বিটিআরসির অনুমতি পাওয়া গেলে আগামী বছরের শুরুতেই উৎপাদন শুরু হবে।

এই কারখানা থেকে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ ইউনিট মোবাইল ফোন উৎপাদন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সিম্ফনি ব্র্যান্ডেই এসব মোবাইল সেট বাজারে আসবে।

আমারা হোল্ডিং লিমিটেডের স্মার্ট স্যলুশন বিভাগের সিওও এএম এহসান উল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'উই' ব্র্যান্ড নাম দিয়ে বর্তমানে এ কোম্পানি হ্যান্ডসেট বাজারজাত করছে। শুধু স্মার্টফোন তৈরির জন্য মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে কারখানা করা হচ্ছে।

“এ কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা থাকবে মাসে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার ইউনিট স্মার্টফোন। তবে বাজার চাহিদার উপর ভিত্তি করে উৎপাদনে যাবেন তারা।”

বাংলাদেশে তৈরি করা উই মোবাইল আগামীতে কাতার ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে রপ্তারির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান এহসান।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং বাংলাদেশিদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য তুলে দিতে ইতোমধ্যে নরসিংদীতে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই উদ্যোগে স্যামসাংয়ের সঙ্গে থাকছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।

এই কারখানায় টিভি, রেফ্রিজারেটর, এসি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ওয়াশিং মেশিন প্রস্তুত করা হবে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর তিন কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়। এর পুরোটাই আমদানি করা হয়।

হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে প্রতি তিনটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের মধ্যে একটি অবৈধভাবে আমদানি হয়। আর এজন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় হাজার কোটি টাকা।

দেশে উৎপাদন শুরু হলে সুলভ মূল্যে সাধারণ মানুষের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া সম্ভব হবে এবং আমদানি নির্ভরতা করবে বলে মনে করছেন কারখানা স্থাপনে উদ্যোগীরা।