সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৫ মার্কিন ডলারে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব ক্রয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
একই দিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিও সরাসরি জিটুজি পদ্ধতিতে ভারত থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান পিইসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের জিটুজি পদ্ধতিতে (সরকারিভাবে) ক্রয় বিষয়ক কমিটির মধ্যে চাল নিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতি টন চালের দাম ৪৫৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়।
সমঝোতা অনুযায়ী, ঋণপত্র খোলার ৬০ দিনের মধ্যে সব চাল সরবরাহ করবে ভারত। ঋণপত্র পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পাঠাবে ১৫ হাজার টন চালের প্রথম চালান।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারতকে ২০১৭ সালে উত্পাদিত চাল সরবরাহ করতে হবে।
আর এই চালে ৫ শতাংশ ভাঙা দানাসহ অন্যান্য প্যারামিটারে বাংলাদেশ কোনো ছাড় না দেওয়ায় চালের দাম একটু বেশিই পড়ছে বলে একজন কর্মকর্তা জানান।
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান পিইসি লিমিটেড গত ১৭ মে বাংলাদেশে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি পাঠায়। পরে ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন সিদ্ধ চাল আমদানির আগ্রহের কথা জানিয়ে নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে গত ৩১ মে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৬ ও ১৭ জুলাই পিইসির দুই সদস্যের সঙ্গে বাংলাদেশের জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয় বিষয়ক কমিটির মধ্যে আলোচনা হয়। তখন ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠানটি দুই লাখ টন চাল বাংলাদেশকে দিতে রাজি হয়।
চালের সরকারি মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়া চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং পাঁচ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়াও কয়েকটি দেশ থেকে সরকারিভাবে ধাপে ধাপে এই আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিচ্ছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।