বিদ্যুৎ খরচ বাড়লে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে ৮-১০%: ডিসিসিআই

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিরর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2017, 11:41 AM
Updated : 24 Sept 2017, 11:41 AM

রোববার ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিদ্যুতের পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা হলে উৎপাদনমুখী শিল্প বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্টিল রি-রোলিং, টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে।”

গত সাড়ে সাত বছরে খুচরা পর্যায়ে সাতবার ও পাইকারিতে পাঁচবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর বিতরণ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

তাদের প্রস্তাবে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৬ শতাংশের বেশি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রস্তাবের ওপর সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ডিসিসিআই বলছে, “যদি আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয় তাহলে প্রতিযোগীতা মূল্যে শিল্প উৎপাদন সক্ষমতা ব্যহত হবে। এছাড়া বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ, রপ্তানি সক্ষমতা, শিল্প বহুমুখীকরণ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যা কিনা বিশেষ করে দেশের ক্রমবিকাশমান এসএমই খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, “বিদ্যুতের পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।”

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সিস্টেম লস আরও হ্রাস করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রমে বেসরকারিখাতকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে জ্বালানি মনিটরিং কমিটি করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে বিদ্যুতের ট্যারিফ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং সকল সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে একটি ‘জ্বালানি মনিটরিং কমিটি’ গঠনসহ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে করে ভবিষ্যতে সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্মত নির্ভরযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা যায়।”