শনিবার সকালে পাড়া-মহল্লায় পশু কোরবানির পর বেলা ১২টা থেকেই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা রিকশা ও ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া কেনা শুরু করে।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কেনায় কয়েক হাত ঘুরে আড়তে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেই চামড়ার দাম সরকার নির্ধারিত দরের সীমা ছাড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. সেকান্দর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রামে এবার গk বছরের চেয়ে বেশি কোরবানি হয়েছে।
“গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলিয়ে সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে আমাদের।”
কোরবানির পর দুপুরেই নগরীর বিভিন্ন এলাকার চামড়া চৌমুহনী মোড়ে নিয়ে আসেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
চৌমুহনী এলাকার চামড়া ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ এবং ছোট গরুর চামড়া ৪০০ টাকায় কিনছেন তারা।
তবে এই দাম পেয়ে খুশি নন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী মো. রফিকসহ অন্যরা।
নগরীর পতেঙ্গা থেকে চামড়া নিয়ে চৌমুহনীতে আসা রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোট গরুর চামড়া ৫০০ আর বড় গরুর চামড়া কেনা পড়েছে ৯০০ টাকা।
চৌমুহনীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মধ্যবর্তী চামড়া ক্রেতাদের কিনে নেওয়া চামড়া সন্ধ্যার পর থেকে আসতে থাকে আতুরের ডিপো ও মুরাদপুর এলাকার আড়তে।
মুরাদপুর রেল গেইট এলাকার এ আই লেদারের মালিক মোহাম্মদ আলী সওদাগর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার চামড়ার মান ভালো। তবে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় এবং ছোট গরুর চামড়া ৯০০ টাকায় কিনেছি।”
মোহাম্মদ আলী সওদাগর বলেন, রাত বাড়ার সাথে চামড়া আসার পরিমাণ বাড়বে। শহর ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জ থেকেও চামড়া আসবে। ভোরের মধ্যে সব চামড়া চলে আসবে বলে আশা করা যায়।
সংরক্ষণের জন্য রোববার সকালের মধ্যেই চামড়ায় লবণ দিয়ে রাখতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার লবণের কোনো সঙ্কট নেই।
চামড়ার আড়তদাররা জানান, চট্টগ্রামে শুধু মদিনা ও রীফ লেদার নামের দুটি কারখানা কিছু চামড়া কেনে। বাকি সব চামড়াই ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কিনে নেবেন।
“ঢাকার ব্যবসায়ীরা আসবেন সপ্তাহ খানেক পর,” বলেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সেকান্দর।