ঋণ খেলাপিদের রাজনৈতিকভাবে বর্জনের আহ্বান

ঋণ খেলাপিরা যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারে সেবিষয়ে সবাই সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এবিবি) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল আমিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2017, 11:31 AM
Updated : 10 August 2017, 01:22 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘অ্যান ইভালুয়েশন অব দ্য পারফরমেন্স অব নিউ কর্মাশিয়াল ব্যাংকস’ শীর্ষক কর্মশালায় একথা বলেন তিনি।

মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, “ঋণ খেলাপি হওয়া এখন একটা কালচার হয়ে গেছে। অনেক সময় দেখা যায়, খেলাপির সঙ্গে জড়িত অনেকের নামে সংবাদ হলেও চার্জশিটের সময় তাদের নাম থাকে না।

“তাই ঋণ খেলাপিদের রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন রাজনৈতিক নেতা হয়ে জনপ্রতিনিধি হতে না পারে।”

নতুন নয়টি কমার্শিয়াল ব্যাংকের মধ্যে দুই তিনটির অবস্থা নাজুক বলে কর্মশালার উদ্বোধনীতে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

কর্মশালার উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “তবে এখনই বলার সময় আসেনি যে, নতুন এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই দুর্বল বা ভালো। যে দুই তিনটি ব্যাংকে বড় বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। সার্বিকভাবে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, “নতুন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ এখনও অনেক কম। তাই এসব ব্যাংকের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

“যেখানে ৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ থাকলেও বেসিক ব্যাংক এখনও বাঁচার স্বপ্ন দেখে। সেখানে নতুন ব্যাংকের খেলাপি ১ শতাংশেরও কম।”

তিনি বলেন, “নতুন ব্যাংকগুলোকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। যাতে তারা বড় হতে পারে।”

বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধূরী বলেন, “বাংলাদেশে ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংকের আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখতে হবে।”

এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মেহমুদ হুসাইন বলেন, “নতুন ব্যাংকগুলোর পারফরমেন্স মূল্যায়নের জন্য চার বছর যথেষ্ট নয়।”

কর্মশালায় ‘অ্যান ইভালুয়েশন অব দ্য পারফরমেন্স অব নিউ কর্মাশিয়াল ব্যাংকস’ শীর্ষক’ গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. সোহেল মোস্তফাসহ ৪ সদস্যের একটি দল।