মিশর থেকে পেঁয়াজ আসছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

পেঁয়াজের দ্বিগুণ দরবৃদ্ধির মধ্যে সংকট মোকাবেলায় মিশর থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2017, 09:36 AM
Updated : 10 August 2017, 12:37 PM

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, আমদানিকারকরা মিশর থেকে পেঁয়াজ আনছে। পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বন্দরে আসার ২৪ ঘণ্টা থেকে দুই দিনের খালাসের বিষয়ে বন্দর চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন।

“খালাস হওয়ার পর বাজারে মাল আসলে কোনো সংকট হবে না।”

সপ্তাহখানেক আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৮ টাকায় মিললেও এখন তা গিয়ে ঠেকেছে ৫০ এর কোটায়।

হঠাৎ এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বন্যায় আড়তে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়া, সামনে কোরবানির ঈদ এবং ভারতের বাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন সেটা উপলব্ধি করতে হবে। বাংলাদেশে চার লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি আছে। এই চার লাখ টন ইমপোর্ট করে ঘাটতি মেটাই। এই আমদানি হয় ভারত থেকে, ভারতেও বন্যার কারণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।”

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

ব্যবসায়ীরা চিনি ও লবণসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগামীতে না বাড়ার আশ্বাস দিলেও পেঁয়াজ নিয়ে তারা কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তোফায়েল বলেন, “এটা আসলে তারা দিতে পারবেন না, এটি আমার কাছে বাস্তব সম্মত না। তারা নিজেরাই হিসেব দিয়েছেন ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসতে এখন ৪৮ থেকে ৫০ টাকা পড়ে।”

এখন পেঁয়াজ ছাড়া কোনো পণ্যের মজুদ বা সরবরাহে সমস্যা নেই বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান।

বন্যার কারণে দেশে মজুদ পেঁয়াজের প্রায় ৫০ শতাংশ পচে গেছে দাবি করে সভায় পেঁয়াজ আমদানিকারক হাজী মো. মাজেদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আনতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা খরচ পরে যাচ্ছে। মিশর থেকে পেঁয়াজ আনতে খরচ হয় ৩৬ টাকার মতো।

তবে মিশর থেকে এখন পেঁয়াজ আমদানির পর ভারত ২০১৫ সালের মতো পণ্যটির দাম কমিয়ে দিলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

“সে সময় ভারত তাদের স্টক ছেড়ে দিয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছিল।”

বৈঠকে মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা জানান, পাইকারিতে চিনি ৪৯ টাকা ৮৫ পয়সা দরে কেজি বিক্রি হলেও খুচরাতে তা প্যাকেট ৭০ টাকা এবং খুচরা ৬০ টাকা বিক্রি হয়।