মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব মাজেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়।
এতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজের শর্ত যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে আগামী ৩১ অগাস্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল ফোন অপারেটররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার দিয়ে থাকে, এসব প্যাকেজ নিয়ে ভোক্তারা নানা অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এবং অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয়।
মোবাইল অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজ মূল্যায়ন করে বিভিন্ন অফারে নির্ধারিত মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না, ভোক্তা কোনোভাবে প্রতারিত হচ্ছে কি না বা অফারে কোনো ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ রয়েছে কি না তা জানাতে বলা হয়েছে বিটিআরসিকে।
এছাড়া ভোক্তারা অভিযোগ করে থাকলে তার সমাধান হয়েছে কি না, না হয়ে থাকলে বিটিআরসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানাতে হবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে।
গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে গত নভেম্বরে গণশুনানির আয়োজন করে বিটিআরসি।
মোবাইল অপারেটরদের সেবা নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক সমস্যা, কলড্রপ, ইন্টারনেটে ধীরগতি, প্যাকেজের নামে ‘প্রতারণা’ ও অহেতুক এসএমএস’র বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক রয়েছে গ্রামীণফোনের। বিটিআরসির হিসাবে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৯৩ লাখ, একীভূত হওয়ার পর রবি-এয়ারটেল মিলে ৩ কোটি ৫০ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ১৩ লাখ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৩৭ লাখ।
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক এখন প্রায় অর্ধেক, যাদের অধিকাংশই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি শেষের তথ্য হিসেবে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৭২ লাখ ৪৫ হাজার।