বৃহস্পতিবার গুলশান ফোর পয়েন্ট বাই শেরাটন হোটেলে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি।
তিনি বলেন, “এই প্রান্তিক খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিল, বিশেষ করে গ্রাহক যোগ করার দিক থেকে। এই পরিবেশে থেকেও আমরা ডাটা এবং ভয়েস উভয় খাতেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।"
ফোলি বলেন, “কর প্রদানের পর এ্ই প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ৭৯০ কোটি টাকা। উচ্চতর রাজস্ব এবং পরিচালন দক্ষতার ফলে ইবিআইটিডিএ (অন্যান্য আইটেমের আগে) এক হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৮৭ টাকা।”
এক নজরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন
>> জুন ২০১৭ এর শেষে ৬ কোটি ১৬ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
>> ৩২৪০ কোটি টাকা রাজস্ব, আগের প্রান্তিক থেকে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ
>> কর দেওয়ার পর নেট মুনাফা ৭৯০ কোটি টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় ৫ দশমিক ৮৭ টাকা
>> প্রধানত থ্রিজি এবং টুজি কাভারেজ সম্প্রসারণে ৩৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ
>> সরকারি কোষাগারে ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা প্রদান
ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিশেষ করে রেগুলেটরি ব্যবস্থা ও স্থানীয় করনীতি ব্যবসায়িক সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে মন্তব্য করে মাইকেল ফোলি বলেন," আমরা আশাবাদী যে ফোরজি লাইসেন্স, তরঙ্গ নিলাম, পুরানো সিম ট্যাক্স এর দাবি এবং গ্রাহকের সেবা ব্যবহারের উপর কর এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকার ও আমাদের শিল্পের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংলাপ বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও দৃশ্যমান পরিবেশ ও গ্রাহকদের জন্য সুলভ সেবার পথ সুগম হবে।"
মোবাইল শিল্প বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সাফল্যের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে সিইও বলেন, “এই শিল্পে আরো বৈদেশিক বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীদের জন্য বিষয়টিকে আকর্ষনীয় রাখতে আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।"
“আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ১০৫ ভাগ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে,” বলেন দিলীপ পাল।
গ্রামীণফোন ৬ কোটি ১৬ লাখ সক্রিয় গ্রাহক নিয়ে ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে, যা ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লাখ হওয়ায় গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের শতকরা ৪৩ দশমিক ৯ ভাগ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে থ্রিজি ও টুজি কাভারেজ বিস্তারে এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ৩৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এই সময়ে ১৪১টি টুজি এবং ২২৫টি থ্রিজি বেস স্টেশন(বিটিএস) নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে, ফলে মোট টুজি বিটিএস এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৬৩টি এবং থ্রিজি বিটিএস ১১ হাজার ৫৫৭টি।
এই প্রন্তিকে কোম্পানি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি আকারে এক হাজার ৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫০ দশমিক ৬ ভাগ বলে জানায় গ্রামীণফান।