বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত এই বাল্ব ও টিউবলাইট বাংলাদেশে বাজারজাত করছে এডিএন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইনজেন টেকনোলজি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এর বিপণন শুরু করেছে তারা।
এডিএন গ্রুপের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক শায়লা আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ লাইটিং এক্সপো-২০১৭তে থাকছে হ্যাভেলসের বাতি। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো এক্সপোতে আকর্ষণীয় এই ইলেকট্রনিক পণ্য আসছে ক্রেতাদের সামনে।
বাসা বাড়ি, অফিস, সড়কের পাশে বসানোর মতো বিভিন্ন আকারের এলইডি বাতি ও টিউবলাইট প্রদর্শিত হবে সেখানে।
ভারতের অন্যতম ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদন কোম্পানি হ্যাভেলসের পণ্য বিশ্বের ৫৩টি দেশের বাজারে রয়েছে।
সিএফএল লাইটের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিপরীতে সারা বিশ্বে পরিবেশবান্ধব বাতির চাহিদা বাড়ার কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলইডি লাইট।
“হ্যাভেলসের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছে সুলভ মূল্যে বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক পণ্য পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।”
তিনি বলেন, এই এলইডি বাতি সহজে নষ্ট হয় না। অন্যান্য বাল্বের মতো চোখের জন্য ক্ষতিকর নয় এটি। প্রদর্শনীতে হ্যাভেলসের বিভিন্ন ধরনের বাতিতে বিশেষ ছাড় ও আকর্ষণীয় অফার থাকবে।
বাজারের খুচরা দোকানগুলোতেও হ্যাভেলস এলইডি বাল্ব ও লাইট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান কবির।
ইনজেন টেকনোলজির ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে এলইডি বাল্বের বাজার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। স্থানীয় কয়েকটি কোম্পানি বাজারে এলেও মানসম্মত এলইডি বাল্ব নেই তাদের।
“বিজ্ঞাপনে যেভাবে বলা হচ্ছে সেই মানের উজ্জ্বলতা, স্থায়িত্ব কিংবা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয় তাদের বাল্বগুলো। বিভিন্ন সময় ভেজালবিরোধী অভিযানে হাজার হাজার এলইডি বাল্ব ধরা পড়লেও সেগুলো বাজার থেকে উঠে যায়নি। ফলে গ্রাহকরা প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে।”
বিএসটিআইয়ের সাম্প্রতিক অভিযানে ঢাকার গুলিস্তান, কাপ্তানবাজার ও ফার্মগেইট থেকে দুই হাজার বাল্ব জব্দ করা হয়, যেগুলো অনুমোদনহীন পাঁচটি কারখানায় তৈরি।
ওই সব ভেজাল বাতি নির্মাতাদের ছয় লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
“এর ফলে এ ধরনের নিম্নমানের বাল্ব বিক্রি কামলেও তা একেবারে শেষ হয়নি,” বলা হয়েছে ইনজেনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
শায়লা আলম জানান, হ্যাভেলসের পণ্যগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে সনদপ্রাপ্ত। বিশ্বে প্রথম সারির পাঁচটি ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির একটি তারা। ৫৩টি দেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম রয়েছে।